/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/09/apple-event-2025-2025-09-09-07-33-48.jpg)
Apple CEO Transition: জল্পনা অব্যাহত।
Apple CEO Transition: ২০১১ সাল থেকে অ্যাপলের নেতৃত্বে থাকা টিম কুক শীঘ্রই সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ৬৫ বছর বয়সি কুক দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অ্যাপলকে সাফল্যের সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। জন টার্নাসকে সম্ভাব্য পরবর্তী সিইও হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
নাম শোনা যাচ্ছে জন টার্নাসের
জন টার্নাস বর্তমানে অ্যাপলের হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট। গত ২৪ বছর ধরে তিনি কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে তিনি আইফোন এয়ার চালু এবং সম্প্রতি লন্ডনের রিজেন্ট স্ট্রিট স্টোরে আইফোন ১৭ সিরিজ লঞ্চ ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন। টার্নাসের ওপর টিম কুকের পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন- প্রিমিয়াম Galaxy S25-স্মার্টফোনে ২০ হাজারের মেগা ডিসকাউন্ট! তোলপাড় ফেলা অফারে উপচে পড়া ভিড়
টার্নাস অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর নেতৃত্বে কোম্পানি নতুন প্রযুক্তি এবং হার্ডওয়্যার ইনোভেশনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি করেছে। ৫০ বছর বয়সি টার্নাস আগামী দশকের জন্য অ্যাপলের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। এটি একটি কাকতালীয় ঘটনা যে, টিম কুক যখন সিইও হয়েছেন, তখন তাঁরও বয়স ছিল ৫০।
আরও পড়ুন- প্রিমিয়াম লুক, চমকে দেওয়া ডিজাইন, আকর্ষণীয় ফিচার, লঞ্চ হল Realme 15 Pro ‘গেম অফ থ্রোনস’এডিশন
৯ সেপ্টেম্বর, অ্যাপল আইফোন ১৭ সিরিজ উদ্বোধন করেছে। টার্নাস এই লঞ্চ ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন এবং গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি মেলামেশা করেছেন। তাঁর এই সক্রিয় উপস্থিতি ও নেতৃত্বদান কোম্পানিকে তাঁর বিশেষ জায়গার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। টার্নাসের বয়স বর্তমানে ৫০, যা তাঁকে দীর্ঘদিন নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছে। অ্যাপলের অন্য ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা হয় অনেক কম বয়সী অথবা অবসরের বয়সের কাছাকাছি, তাই টার্নাস একজন স্থায়ী ও অভিজ্ঞ নেতা হিসেবেই উঠে এসেছেন।
আরও পড়ুন- আরও সস্তা হল আইফোন ১৬! অবিশ্বাস্য দামে পান সাধের এই প্রিমিয়াম স্মার্টফোন
টিম কুক অবশ্য এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেননি। তবে বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, তিনি শীঘ্রই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাঁর পদত্যাগের সংবাদ প্রকাশিত হলে, অ্যাপলের ভবিষ্যৎ কৌশল ও নেতৃত্বের দিক পরিবর্তন হতে পারে। টার্নাস যদি পরবর্তী সিইও হন, তবে কোম্পানির হার্ডওয়্যার এবং নতুন প্রোডাক্ট লাইনে নতুন দিগন্ত খুলে দিতে সক্ষম হবেন। তাঁর অভিজ্ঞতা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা অ্যাপলকে আরও শক্তিশালী করবে। এমনটাই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
টিম কুকের নেতৃত্বে অ্যাপল অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। জন টার্নাসের সম্ভাব্য সিইও পদে উন্নতি অ্যাপলের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হতে পারে। আইফোন এয়ার এবং ১৭ লঞ্চে টার্নাসের সক্রিয় অবদান তাঁকে কোম্পানির পরবর্তী সিইও পদে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।