/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/25/shubhanshu-shukla-visit-lucknow-2025-08-25-14-59-03.jpg)
'মহাকাশ ভ্রমণ ভাবতেই পারিনি'! স্বপ্ন ছুঁয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ার শুভাংশু'র
Shubhanshu Shukla: "আমি কখনও ভাবিনি যে মহাকাশ ভ্রমণ করব"—মহাকাশ থেকে ফিরে এসে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ভারতের দ্বিতীয় মহাকাশচারী শুভাংশু শুক্লা। দিল্লির সুব্রত পার্কে বিমান বাহিনী অডিটোরিয়ামে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর হাত থেকে সংবর্ধনা গ্রহণ করেন তিনি। একই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন গগনযান মিশনের জন্য নির্বাচিত আরও তিন মহাকাশচারী। স্কুল পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভাংশু জানান, শৈশবে তিনি ছিলেন লাজুক এবং সংযত স্বভাবের, আর রাকেশ শর্মার মহাকাশযাত্রার গল্প শুনেই বড় হয়েছেন।
আরও পড়ুন- পোস্ট অফিসের বাম্পার স্কিম!পান লক্ষ লক্ষ টাকা রিটার্ন...!
শুভাংশু শুক্লা জানান, ভারতীয় বিমান বাহিনী তার জীবনে বড় ভূমিকা নিয়েছে। "ককপিটই ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক"। এদিনের অনুষ্ঠানে পড়ুয়া ও সাধারণ মানুষ তার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সেলফি ও অটোগ্রাফের ভিড়েও তিনি নিশ্চিত করেছেন মহাকাশে গেলেও তার মন পরিবারে স্ত্রী ও ছোট ছেলের জন্য ব্যাকুল হত সবসময়ই।
লখনউতে জন্ম! ৪০ বছর বয়সি শুভাংশু শুক্লা একটি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসে। প্রথমে প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে না থাকলেও বন্ধুর কেনা একটি ফর্ম পূরণ করেই শেষমেশ তিনি এনডিএ (ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমি)-তে ভর্তি হন। তিনি বলেন, বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জের জন্য মানুষকে তৈরি করে।
অ্যাক্সিওম-৪ মিশনের অধীনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) ২০ দিন কাটানোর পর গত মাসে পৃথিবীতে ফেরেন শুক্লা। তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ভ্রমণকারী প্রথম ভারতীয় হিসেবে ইতিহাস গড়েছেন। সম্প্রতি সাউথ ব্লকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে মহাকাশযাত্রা, কক্ষপথে হওয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং ভারতের মানব মহাকাশ মিশন ‘গগনযান’ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন-রোজই তো যাতায়াত করেন, জানেন একটি রেলের চাকা থেকে শুরু করে কোচ, একটা ট্রেন বানাতে কত টাকা খরচ হয়?
অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে তিনি জানান, কক্ষপথ থেকে প্রতিদিন ১৬টি সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এছাড়া মহাকাশ থেকে ভারতের রাতের দৃশ্যকে তিনি জীবনের অন্যতম সুন্দর দৃশ্য হিসেবে বর্ণনা করেছেন। শুক্লা বলেন, “অ্যাক্সিওম-৪ মিশন আমাদের দেশের জন্য এক বড় সাফল্য। এখান থেকে শেখা অভিজ্ঞতাগুলো আমরা গগনযান মিশনে কাজে লাগাব।”
পড়ুয়াদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ভারতের তরুণ প্রজন্মের হাতে রয়েছে মহাকাশ অনুসন্ধানের ভবিষ্যৎ। “কৌতূহলী থাকুন, সম্ভাবনাগুলি অফুরন্ত,”—বলেছেন শুক্লা। এদিন অনুষ্ঠানে অংশ স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী। শুভাংশু শুক্লার এই যাত্রা শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, সমগ্র দেশবাসীকেই অনুপ্রাণিত করছে। ভারতের মানব মহাকাশ অভিযান ‘গগনযান’-এর উচ্চাকাঙ্ক্ষার পথে এটি এক মাইলফলক বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।