Advertisment

দেশবাসীকে শিক্ষিত করুন, কেন্দ্রকে বলল হোয়াটসঅ্যাপ

Whatsapp end to end encryption India: ফেসবুকের আওতায় এই কোম্পানি সাফ জানিয়েছে, কোনটা ভুল তথ্য সে বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া প্রতি নজর দেওয়া উচিত ভারতের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
whatsapp, হোয়াটস অ্যাপ

WhatsApp's Chief Business Officer Neeraj Arora quits: সাত বছরের সম্পর্ক শেষ

Whatsapp end-to-end encryption: কয়েকদিন ধরেই ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের পরিকাঠামো বদলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই নির্দেশ পুরোপুরি মানতে নারাজ হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা। তারা জানিয়েছে যে তৈরি করা হচ্ছে ট্রেসেবিলিটি যা শুরু থেকে শেষ সমস্ত এনক্রিপশনকে গোপনেই হ্রাস করে দেবে এবং ব্যবহারকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করবে। কারণ মানুষ তাঁদের বিভিন্ন বিষয়ে এই প্ল্যাটফর্মে কথোপকথন করে থাকেন। ফেসবুকের আওতায় এই কোম্পানি সাফ জানিয়েছে, কোনটা ভুল তথ্য সে বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার প্রতি নজর দেওয়া উচিত ভারতের।

Advertisment

দিন কয়েক আগে ভারতের বর্তমান সরকার হোয়াটসঅ্যাপকে জোর করেছিল, প্রযুক্তিগত পরিকাঠামোর বদল করার জন্য, এবং কোথা থেকে মেসেজ করা হচ্ছে তা ট্রেস করার মত সমাধান খুজে বার করতে। কারণ হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে গণপ্রহার, কিছু ক্ষেত্রে সৃষ্টি হয়েছে দাঙ্গা। যে ট্রেসিবিলিটি তৈরি করা হচ্ছে তাতে  শুরু থেকে শেষ এনক্রিপশন মুছে যাবে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপের যে ব্যক্তিগত ব্যবহারের ধরণ রয়েছে সেখানে হোয়াটসঅ্যাপের অপব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই পি.টি.আইকে বলেছেন হোয়াটসঅ্যাপের মুখপাত্র।

আরও পড়ুন: ফোন ক্যামেরাকে ডিএসএলআর বলে চালানোর চেষ্টা হুয়াওয়ের

তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে খবর, সরকার দাবি করেছে যে, হোয়াটসঅ্যাপকে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের অন্বেষণ চালিয়ে যেতে হবে যাতে অপরাধমূলক ও উত্তেজনাপূর্ণ, অপ্রীতিকর বার্তা ছড়িয়ে পড়ার শিকড়টি সনাক্ত করা যেতে পারে। কোম্পানিকে ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি আইন বুঝিয়ে দিতে তৎপর হয়েছে মন্ত্রক। এও জোর দিয়ে বলেছে যে কোম্পানীকে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে ভারতীয় আইন অনুযায়ী একটি স্থানীয় কর্পোরেট সত্ত্বা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গত কয়েক মাস ধরে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জাল খবর ছড়িয়ে পড়তে কাঠগোড়ায় দাড় করানো হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপকে। এমনকি দেশের বিভিন্ন রাজ্যে দাঙ্গা ও সংঘর্ষের ঘটনাকেও উস্কে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এমনই অভিযোগের পাহাড় গড়ে তুলেছে কেন্দ্র।

চলতি সপ্তাহে হোয়াটসঅ্যাপের শীর্ষ কর্তা ক্রিস ড্যানিয়েলস সাক্ষাৎ করেছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে। মিটিং এর পর, প্রসাদ সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সরকার হোয়াটসঅ্যাপকে একটি স্থানীয় কর্পোরেট সত্তা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং তার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে প্রচারিত জাল বার্তাগুলির উৎপত্তি খোঁজার জন্য জোর দিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে ইতিমধ্যেই তারা সমাধানের পথ খুজে পেয়েছে।

আরও পড়ুন :নতুন গ্রাহকদের ফেস রেকগনিশন পদ্ধতি চালু করার নির্দেশ আধার কর্তৃপক্ষের

ভারতকে "ডিজিটাল ইন্ডিয়া" হিসাবে গড়ে তুলতে অপরিহার্য ভুমিকা পালন করে থাকে ফেসবুক। কিন্তু এদিকে এই প্ল্যাটফর্মের ওপর ভর করেই জাল খবর প্রচারিত হওয়ার সমস্যা উঠে এসেছে। আর সেই সমস্যা মোকাবিলা করার জন্যই উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ক্রিস ড্যানিয়েলস। আগামী বছর ভারতে অনুষ্ঠিত হবে সাধারণ নির্বাচন। তাই এর আগে সরকার ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে ফেসবুক, টুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারে নাগাল টানতে তৎপর হয়ে উঠেছে কেন্দ্র। সংস্থা থেকে জানিয়েছে ভারতে সবচেয়ে বেশি হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার রয়েছে এই মূহুর্তে, প্রায় ২০০ মিলিয়ন।

তবে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় দল গঠন করেছে তারা। প্রথমেই কথা হয়েছিল, এবার হোয়াটসঅ্যাপে কোনও মেসেজ পাঁচবারের বেশি ফরওয়ার্ড করা যাবে না। সেই কথামত এ দেশে এবার মেসেজ ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রে লক্ষ্মণ রেখা টেনে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। তবে আর যে কিছু সেভাবে বদল হবে না তার ইঙ্গিত দিয়েছে সংস্থা। কেন্দ্র সরকারের চাপের জবাবে হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে, প্রযুক্তি ব্যবহারের শিক্ষা দেওয়া উচিত ভারতীয়দের। অন্যদিকে গত মাসে আপডেট করার নির্দেশ দিয়ে কেন্দ্রের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক জানিয়েছিল, আপডেট না করলে ভারতে কারণে অকারণে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম।

Whatsapp
Advertisment