তিন মাস কেটে গেছে। এখনও ব্যর্থতার সম্পূর্ণ স্পষ্ট রিপোর্ট তৈরি করা যায়নি। ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সাড়া দেয়নি বিক্রম। রোভার-প্রজ্ঞান অন্ধকারেই অকেজ হয়ে গেছে। কিন্তু কেন এই পরিণতি হল? কোথায় গিয়ে মিলল না হিসেব? সেই ব্যর্থতার কথা জন সাধারণের সামনে তুলে ধরলেও তা এখনও যে স্পষ্ট নয় তা জানাচ্ছে ইসরোর চেয়ারম্যান কে.শিভন।
গত মাসে সংসদে সরকার একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণে ইসরো-এর ব্যর্থতার কথা ঘোষণা করে। লোকসভার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন চন্দ্রযান-২ এর বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং লিখিত জবাবে জানান যে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করার সময় যে বেগ থাকার কথা তার চেয়ে অনেক তীব্র ছিল বিক্রমের বেগ। যার ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠের ৫০০ মিটারের মধ্যেই হার্ড ল্যান্ডিং করে বিক্রম। যদিও হার্ড ল্যান্ডিংয়ের কারণেই ইসরোর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বিক্রমের, এ কথা আগেই জানিয়েছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
আরও পড়ুন:বছর শেষে সুখবর! কম দামের আকর্ষণীয় রিচার্জ প্যাক আনল জিও
চন্দ্রায়ণ -২ ব্যর্থতা বিশ্লেষণ কমিটির অংশ হওয়া ইসরোর প্রাক্তন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “ ইসরো চন্দ্রযান-২ মিশনের ব্যর্থতা বিশ্লেষণ গবেষণা সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে।এটা অন্যতম ভালো দিক। তবে প্রতিটি সরকার এবং প্রতিটি ব্যক্তি এটিকে আলাদাভাবে দেখে থাকেন।’’
আরও পড়ুন:লোকেশন ট্র্যাক বন্ধ থাকলেও আপনাকে ছায়ার মত ধাওয়া করছে ফেসবুক!
যদিও বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল একটি রিপোর্ট ( FAC) জমা দিয়েছে, যেখানে উল্লেখ আছে, চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় গতিবেগ বেশি থাকায় মুখ থুবড়ে পড়ে ল্যান্ডার। কিন্তু কেন হিসেব মিলল না? কোথায় ত্রুটি রয়ে গিয়েছিল তা পরিষ্কার করে বলা হয়নি রিপোর্টে।
আরও পড়ুন:সূর্যের খুব কাছে গিয়ে অবাক করা ঘটনা দেখল নাসা!
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিমন্ত্রী লিখিতভাবে জানান, “প্রাথমিকভাবে চন্দ্রপৃষ্ঠর ৩০কিমি থেকে ৭.৪ কিমি পর্যন্ত ঠিকমতোই কাজ করছিল বিক্রম। এমনকি ১৬৮৩ মিটার/ সেকেন্ড থেকে গতিবেগ কমে আসে ১৪৬ মিটার/সেকেন্ড। কিন্তু দ্বিতীয় ধাপে গতিবেগ কমাতে ব্যর্থ হয়। যে মূহুর্তটিকে ফাইন বেকিং ফেজ বলা হচ্ছিল সেই মূহুর্তেই নিজের কক্ষপথ থেকে সরে যায় বিক্রম। ফলস্বরূপ, ৫০০ মিটারের মধ্যেই হার্ড ল্যান্ডিং করতে বাধ্য হয় বিক্রম।” জীতেন্দ্র সিং বলেন, ‘অবতরণ ছাড়া, চন্দ্রায়ণ -২ মিশনের বেশিরভাগ লক্ষ্য সফল হয়েছে।’
আরও পড়ুন:অবশেষে মঙ্গলে মিলল বরফের সন্ধান
ইসরো চেয়ারম্যান কে শিভন বলেন, "এখনও জনসম্মুখে প্রকাশিত বিবরণগুলি থেকে প্রশ্ন ওঠছে পারে, ঠিক কী কারণে গতিবেগ হ্রাস করা গেল না? ২০২০ সালে চন্দ্রায়ণ -৩ মিশনে এই সমস্যাগুলি কীভাবে মোকাবেলা করা হবে সে প্রশ্নও জোড়াল হচ্ছে। ধোঁয়াশা কাটেনি"।
ইসরো সূত্রে জানান হয়েছে, সম্পূর্ণ রিপোর্ট জমা করতে পূর্বে এত দেরি করেনি ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
Read the full story in English