cyber Security Tips: আপনি কি হ্যাকার এবং স্ক্যামারদের হাত থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখতে চান? তাহলে অবশ্যই মেনে চলুন এই সাতটি অতি প্রয়োজনীয় সাইবার সিকিউরিটি টিপস।
প্রযুক্তির যত দ্রুত ব্যবহার বেড়েছে ততই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সাইবার ক্রাইম। আজকালকার দিনে আমরা সবাই ডিজিটাল হয়ে উঠছি। সহজ কথায়, মানুষের সহজ এবং সুবিধাজনক ডিজিটাল অ্যাপ ব্যবহারের মাত্রা বহুগুণে বেড়েছে । ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল ডিভাইসের এই যুগে জীবন এখন আগের তুলনায় অনেক সহজ হয়ে উঠেছে। একই সাথে আরও কঠিন হয়ে উঠছে ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ রাখা। হ্যাকারদের হাত থেকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ পর্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করার জন্য সাইবার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে সাইবার অপরাধ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। হ্যাকিং, ডেটা চুরি কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট হ্যাক—এই ধরনের ঘটনাগুলি প্রতিদিনই কারও না কারও জীবনে ঘটে চলেছে। আপনি যদি স্মার্টফোন বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন, তাহলে সাইবার নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। আজকের এই প্রতিবেদনে রইল এমনই ৭টি গুরুত্বপূর্ণ টিপস, যেগুলি মেনে চললে আপনি আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ও ডেটা চুরি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন।
১. টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন চালু রাখুন
অনলাইন অ্যাকাউন্ট সুরক্ষার প্রথম ধাপ হল টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু রাখা। সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট হোক বা ব্যাঙ্কিং অ্যাপ্লিকেশন, সব ক্ষেত্রেই এই অপশনটি কাজে লাগান। এটি আপনার অ্যাকাউন্টে অতিরিক্ত নিরাপত্তা প্রদান করে এবং অন্য কেউ আপনার অনুমতি ছাড়া লগইন করতে পারবে না।
২. শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
সাধারণ বা সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার একেবারেই করা উচিত নয়। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় বড় ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্ন থাকা আবশ্যক। একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার না করাই শ্রেয়।
৩. সবসময় অ্যাপ এবং সফটওয়্যার আপডেট করুন
ফোন, ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ—যে কোনও ডিভাইস হোক, তা নিয়মিত আপডেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি ফোনে ব্যবহৃত সব অ্যাপ্লিকেশনও আপডেট রাখুন। কারণ অনেক সময় সফটওয়্যারে থাকা নিরাপত্তাজনিত দুর্বলতা হ্যাকারদের সুযোগ করে দেয়।
৪. অজানা লিঙ্কে ক্লিক করবেন না
মেসেজ, ইমেল বা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অনেক সময় অফারের প্রলোভন দেখিয়ে লিঙ্ক পাঠানো হয়। এই ধরনের সন্দেহজনক লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে, এমনকি ব্যাংক অ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়ে যেতে পারে।
৫. গুরুত্বপূর্ণ ডেটার ব্যাকআপ রাখুন
ডেটা চুরি অথবা ডিভাইস নষ্ট হলে যাতে তথ্য হারিয়ে না যায়, তার জন্য নিয়মিত ব্যাকআপ রাখা উচিত। আপনি চাইলে ক্লাউড স্টোরেজ বা এক্সটার্নাল হার্ড ড্রাইভে আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংরক্ষণ করতে পারেন।
৬. অ্যান্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল ব্যবহার করুন
ডিভাইসকে ভাইরাস ও হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করতে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে ফায়ারওয়াল চালু রাখলে আপনার অনলাইন নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হয়।
৭. পাবলিক ওয়াই-ফাই বা চার্জিং পয়েন্ট ব্যবহার এড়িয়ে চলুন
পাবলিক জায়গায় থাকা ফ্রি ওয়াই-ফাই বা চার্জিং স্টেশনে ডিভাইস সংযুক্ত করলে আপনার ব্যক্তিগত ডেটা ঝুঁকিতে পড়তে পারে। সাইবার অপরাধীরা এই মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার ফোনে অনধিকার প্রবেশ করতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তার এই টিপসগুলো প্রতিদিনের জীবনে অভ্যাসে পরিণত করলে আপনার ডেটা ও তথ্য অনেকটাই নিরাপদ থাকবে। নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে—এই মন্ত্রটিই হওয়া উচিত আপনার ডিজিটাল লাইফের মূলমন্ত্র।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us/indian-express-bangla/media/media_files/2024/11/27/EW2AlMM5syVh6KcFD7AR.jpg)