Reliance jio Starlink plan: রিলায়েন্স জিওর বিরাট পরিকল্পনা। ২৬ গিগাহার্জ ব্যান্ডে হাইস্পিড ইন্টারনেট আনতে তৈরি মুকেশ আম্বানি। স্টারলিংককে টক্কর দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে রিলায়েন্স।
ভারতের টেলিকম দুনিয়ায় আরেকবার আলোড়ন ফেলতে চলেছে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স জিও। এবার লক্ষ্য— ২৬ গিগাহার্জ ব্যান্ডে অতিউচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা। ইতিমধ্যেই কোম্পানিটি ভারতের টেলিযোগাযোগ বিভাগ (DoT)-এর কাছে এই ব্যান্ড ব্যবহারের জন্য অনুমোদন চেয়েছে।
আরও পড়ুন- 'খুশিতে ডগমগ' হবে জামাই, এক ক্লিকেই রইল সেরা উপহারের তালিকা
এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন হলে, স্টারলিংক বা অন্যান্য স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবার বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিকল্প তৈরি হবে ভারতের মাটিতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জিও যে ধরণের হাইব্রিড ৫জি ও ওয়াইফাই পরিষেবা আনতে চায়, তা মেট্রো শহরের ব্যস্ত এলাকাগুলিতে ইন্টারনেট অভিজ্ঞতাকে একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- বাড়িতেই এবার ভরপুর বিনোদন! ১২ হাজারের নীচে পেয়ে যান দুর্দান্ত ফিচার্সের লেটেস্ট স্মার্ট টিভি
কীভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম?
বর্তমানে ভারতীয় টেলিকম কোম্পানিগুলি সাধারণত ৫ গিগাহার্জ ব্যান্ডে ওয়াইফাই পরিষেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু, ২৬ গিগাহার্জ ব্যান্ডটি মূলত ৫জি নেটওয়ার্কের জন্য সংরক্ষিত। রিলায়েন্স জিও সেই স্পেকট্রামকে নতুন প্রযুক্তিতে কাজে লাগাতে চায়, যার ফলে ব্যবহারকারীরা পাবেন কম ল্যাটেন্সি ও অত্যন্ত উচ্চ গতির কানেক্টিভিটি।
আরও পড়ুন- UPI এ ভুল নম্বরে পেমেন্ট? কীভাবে ফেরত? জানুন এক মিনিটেই
জিও তাদের ওয়াইফাই পরিষেবার সঙ্গে এই স্পেকট্রাম যুক্ত করে এক ধরনের হাইব্রিড প্রযুক্তি চালু করতে চাইছে। এই পরিষেবার মাধ্যমে শহরের জনবহুল অঞ্চলে আরও স্থিতিশীল এবং দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন- বৃষ্টির দিনে কীভাবে বিশেষ যত্ন নেবেন সাধের বাইকের? ৯০% মানুষেরই অজানা
অনুমোদনের প্রক্রিয়া
২০২২ সালের স্পেকট্রাম নিলামের নিয়ম অনুযায়ী, বরাদ্দকৃত ব্যান্ড অন্য প্রযুক্তিতে ব্যবহারের আগে DoT-এর অনুমোদন নিতে হয়। এই কারণেই জিও গত সপ্তাহে ডিওটির কাছে আবেদন করেছে। যদিও এখনও DoT এর পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
এই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন রিলায়েন্স জিওকে এয়ারটেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম করে তুলবে। পাশাপাশি, ইলন মাস্কের স্টারলিংক প্রকল্পকেও প্রতিযোগিতায় ফেলে দেবে। কারণ, উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষ্য— গ্রাহকদের দ্রুততম ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান। জিও অনুমোদন পেলে, সম্ভবত অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিগুলিও একই পথে হাঁটবে। ভবিষ্যতে ভারতের ডিজিটাল পরিকাঠামো আরও শক্তিশালী হতে পারে এই উদ্যোগের মাধ্যমে।