/indian-express-bangla/media/media_files/2024/10/17/9YeOhghEUKPUnj8LSSCs.jpg)
E20 Petrol: E20 পেট্রোল।
E20 Petrol Fuel: ভারতে পেট্রোলের দামে লাগাতার ওঠানামার কারণে সরকার ইথানল মিশ্রিত পেট্রোল ব্যবহার বাড়াচ্ছে। এর উদ্দেশ্য—আমদানি কমানো, পরিবেশ দূষণ হ্রাস করা এবং জ্বালানির বিকল্প উৎস তৈরি করা। এর ফলেই বাজারে এসেছে E20 পেট্রোল।
কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, দেশের রাস্তায় বর্তমানে যে সব বাইক ও গাড়ি চলছে, তার অধিকাংশই এখনো E20 ফুয়েল কম্প্যাটিবল নয়। আর এ কারণেই অনেক মালিক অভিযোগ করছেন, গাড়ির মাইলেজ কমছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে ইঞ্জিন পার্টসে সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
E20 পেট্রোল
E20 মানে হল- ২০% ইথানল এবং ৮০% পেট্রোলের মিশ্রণ। ইথানল তৈরি হয় আখ, ভুট্টা বা ধান থেকে। এটি পরিবেশবান্ধব এবং কার্বন নিঃসরণ কমায়। কিন্তু পুরনো ইঞ্জিন ও যন্ত্রাংশ ইথানল-বেসড ফুয়েল সহ্য করতে পারে না। যেসব বাইক বা গাড়ি E20 কম্প্যাটিবল নয়, তাদের মালিকদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষ করে পুরোনো মডেলের বাইক (৫ বছরের বেশি পুরনো), ফুয়েল ইনজেকশন বা থ্রটল বডি সেন্সর পুরনো গাড়ি, প্লাস্টিক বা রাবারের বেশি অংশ থাকা ফুয়েল লাইন যুক্ত বাইক/গাড়ি- এদের জন্য এই পেট্রোল বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন- ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিরাট চমক jio-এর! ৩৪৯ টাকার রিচার্জে পান ৩ হাজারের বেনিফিট
E20 Petrol ব্যবহার করলে ARAI টেস্টে দেখা গেছে, গাড়ি অনুযায়ী ১-৬% পর্যন্ত মাইলেজ কমতে পারে। ইথানল জল শোষণ করে। ফলে ফুয়েল ট্যাঙ্ক, ফুয়েল লাইন ও মেটাল অংশে জং ধরতে পারে। গ্যাসকেট, হোস, ফুয়েল লাইন ফেটে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে ইনজেক্টর ও থ্রটল বডি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- ১০টাকায় সোনা কেনার বিরাট সুযোগ, মধ্যবিত্তের জন্য বাম্পার অফার, কীভাবে কিনবেন?
২০২৩ সালের পর যে সব নতুন বাইক ও গাড়ি লঞ্চ হয়েছে, সেগুলির অধিকাংশই E20 Ready। টু-হুইলার কোম্পানিগুলি যেমন Honda, Hero, TVS, Bajaj ধীরে ধীরে E20 কম্প্যাটিবল মডেল বাজারে আনছে। চার-চাকার দিক থেকেও Maruti, Hyundai, Tata নতুন মডেলে E20 Ready ইঞ্জিন দিয়েছে।
আরও পড়ুন- কবে থেকে শুরু প্রিবুকিং, বিক্রি? iPhone 17 সিরিজ লঞ্চের আগে বড়সড় আপডেট
তাই গাড়ির ম্যানুয়াল চেক করুন – সেখানে লেখা থাকবে গাড়ি E20 সাপোর্ট করে কি না। সম্ভব হলে E10 পেট্রোল ব্যবহার করুন – অনেক পাম্পেই এখনও E10 (১০% ইথানল) পাওয়া যায়। ইঞ্জিন মেইন্টেন্যান্স বাড়ান – নিয়মিত ফুয়েল ফিল্টার, ইনজেক্টর ও গ্যাসকেট চেক করুন। দীর্ঘদিন গাড়ি না চালালে ট্যাংক ফুল রাখুন – এতে ট্যাংকে জল জমে জং ধরবে না।
আরও পড়ুন- দেরি করবেন না, জাল নথির ছড়াছড়ি, আপনার আধার রেজিস্টার্ড তো? ঘরে বসেই জানুন
E20 পেট্রোল নিঃসন্দেহে পরিবেশবান্ধব এবং দেশের জন্য ভালো। তবে আপনার বাইক বা গাড়ি যদি E20 Ready না হয়, তবে এটি ব্যবহার করা অতিরিক্ত খরচ ও ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই নতুন বাইক কিনলে অবশ্যই দেখে নিন এটি E20 কম্প্যাটিবল কি না। সচেতন হলে আপনার গাড়ির আয়ু বাড়বে, আর পকেটেও চাপ পড়বে না।