Electric Plane: অবিশ্বাস্য! গাড়ির ভাড়ার থেকেও কমে উড়ান যাত্রা, খবরে চমকে উঠলেন লাখো মানুষ।
ভারতে কবে আসবে বৈদ্যুতিক বিমান, জানুন বিস্তারিত
পেট্রোল ও ডিজেলের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে দেশের বেশিরভাগ মানুষ এখন ইলেকট্রিক যানবাহনের উপর ভরসা রাখছেন। বাড়তি মূল্যবৃদ্ধি আজ অনেকের কাছেই এক বড় চ্যালেঞ্জ। ঠিক এই সময়েই একটি নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে বৈদ্যুতিক বিমান প্রযুক্তি। পরিবেশবান্ধব এবং অত্যন্ত সাশ্রয়ী এই প্রযুক্তি আগামী দিনে বিমান পরিষেবার ধারণাটা পুরোপুরি বদলে দিতে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভবিষ্যতে এমন দিন আসতে পারে যখন বিমানে ভ্রমণের খরচ গাড়ির ভাড়ার থেকেও কম হবে।
বৈদ্যুতিক বিমান কী এবং কতটা কার্যকর?
বৈদ্যুতিক বিমান এমন এক প্রযুক্তি, যেখানে সাধারণ বিমানের মতো ফসিল ফুয়েলের পরিবর্তে ব্যাটারি কিংবা হাইব্রিড শক্তি ব্যবহার হয়। ফলে এই বিমানে দূষণ প্রায় শূন্য এবং খরচও তুলনায় অনেক কম। সম্প্রতি, বিটা টেকনোলজিস নামের আমেরিকান সংস্থা তৈরি করেছে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক বৈদ্যুতিক বিমান Alia CX300। এই বিমানটি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে ইস্ট হ্যাম্পটন পর্যন্ত ১৩০ কিলোমিটার উড়েছে, এবং পুরো যাত্রার খরচ হয়েছে মাত্র ৮ ডলার—ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৬৯৪ টাকা!
যেখানে সাধারণ বিমানে এই একই রুটে যাত্রা করলে খরচ হত প্রায় ২৯,০০০ টাকা! অর্থাৎ অর্থনীতি ও পরিবেশ—উভয় দিক থেকেই বৈদ্যুতিক বিমান একটি পরিবহন বিপ্লবের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
ভারতে কবে আসবে এই বৈদ্যুতিক বিমান?
- ভারতে এই প্রযুক্তির বাস্তবায়নে এখনও কিছু বাধা রয়ে গিয়েছে
- ব্যাটারির সীমিত রেঞ্জ: বর্তমানে একবার চার্জে এই বিমান মাত্র ৪৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে।
- চার্জিং পরিকাঠামোর অভাব: ভারতে চার্জিং স্টেশন এখনও পর্যাপ্ত সংখ্যায় নেই।
- বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়ন: ছোট ও মাঝারি শহরের বিমানবন্দরগুলিতে এই ধরনের বিমান পরিচালনার জন্য আলাদা প্রস্তুতি প্রয়োজন।
তবে, ইতিমধ্যেই ভারত সরকার ই-বিমানে বিনিয়োগ এবং গবেষণাকে উৎসাহিত করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৭-২০২৮ সালের মধ্যেই ভারতে সীমিত পরিসরে বৈদ্যুতিক বিমান পরিষেবা শুরু হতে পারে।
বর্তমান জলবায়ু সংকটের প্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক বিমান শুধু খরচ কমাবে না, বরং পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষায়ও বড় ভূমিকা নেবে। ছোট দূরত্বে উড়ন্ত ট্যাক্সি, এমনকি ই-কার্গো পরিষেবাও আসতে পারে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই।