আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ভুয়ো তথ্যে লাগাম টানতে তৎপর ফেসবুক। সোমবার ফেসবুক জানিয়েছে, ভুল খবর দ্রুত যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ফেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা থেকে পোস্টের বিষয়বস্তুর উপর নজরদারি সহ আর কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তারও একটা তালিকা প্রকাশ করেছে সংস্থা।
সিভিক ইন্টিগ্রিটি বিভাগের প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ডিরেক্টর সমোধ চক্রবর্তী ভারতীয় নির্বাচনকে "সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার" বলে অভিহিত করে বলেছেন, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ফেসবুক গত দুই বছরে যথেষ্ট মনোনিবেশ করেছে।
আরও পড়ুন: টিভি, খবরের চ্যানেল, গেমিং জোন সঙ্গে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে এল অ্যাপল
ভারতের বিভিন্ন মিডিয়া সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে জোট বেঁধেছে ফেসবুক। ফলে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা সহ আরও বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় একাধিক খবর প্রকাশ্যে আসে। সমোধবাবু বলেন, কোনও পোস্টের বিষয়বস্তু যদি মিথ্যা হয় এবং তা ফেসবুকের নজরে পড়ে তাহলে শেয়ার এবং নিউজফিড থেকে তা মুছে ফেলা হবে।
২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনের সময় ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া রুখতে ব্যর্থ হয়েছিল ফেসবুক। সে সময় ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গকে একাধিক অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়। মূলত তারপর থেকেই এ বিষয়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে ফেসবুক।
আরও পড়ুন: দেখতে হবে না টিভি, প্রশ্ন করলেই পেয়ে যাবেন আইপিএল-এর তাজা খবর
ইতিমধ্যেই ভুল তথ্য প্রচারে বাধা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে ফেসবুকের মেসেজিং সার্ভিসে। যা ভারতের জন্য ক্ষতিকর, এমন কোনো তথ্য বা খবর যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে কাজ অনেকটাই এগিয়েছে।
ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো খবরে দেশে গণপ্রহার ও দাঙ্গা হাঙ্গামার হার সম্প্রতি বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভুয়ো খবরের জেরে ২০১৮ সালে ভারতের প্রায় ২০ জন গ্রামবাসী নিহত হন। তারপরই মেসেজ ফরওয়ার্ডের ক্ষেত্রে লক্ষ্মণরেখা টেনে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
তবে সোশাল মিডিয়া ভারতীয় রাজনৈতিক প্রচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে, বিজেপি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক প্রচারের জন্য ব্যাপকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছিল। যার মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক তরুণ ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছিল। বিশ্বে ভারতীয়রাই সবচেয়ে বেশি ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। যার সংখ্যা প্রায় ৩০ কোটি, এবং যা ২০১৯-এর নির্বাচনে দেশের ভোটারসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।
Read the full story in English