‘‘দয়া করে আপনার মোবাইল ফোনসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স গ্যাজেটগুলিকে ফ্লাইট মোডে রাখুন।’’ গোটা বিশ্বেই বিমানে শোনা যায় এ ঘোষণা। মন বেজার হলেও উপায় নেই, অগত্যা ফোনকে ফ্লাইট মোডে রাখতেই হয়। অনেকক্ষণের জার্নিতে মোবাইল হাতে নিয়ে খুটুর খুটুর না করলেও চলে না।
ফ্লাইটে কীভাবে ব্যবহার করতে পারবেন নেটওয়ার্ক পরিষেবা জেনে নিন তার উপায়।
আরও পড়ুন :কৃষি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে মহিন্দ্রা বাজারে আনল YUVO এবং JIVO ট্রাক্টর
১) ফ্লাইট থেকে কি কল করা যাবে?
প্রযুক্তিগত ভাবে, ও আইনগত দিক দিয়ে দেখলে ফ্লাইটের মধ্যে থেকে কল করা সম্ভব, কিন্তু অনেক এয়ারলাইন্সে ক্যাবিনে নয়েজ নিষিদ্ধ করা থাকে, এবং বাকি যাত্রীদের অসুবিধার কারণে ফোন বা ট্যাব বা এই ধরনের গ্যাজেট ব্যবহার করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা থাকে।
কেমনভাবে পরিষেবা পাওয়া যায় বিমানে, তারই ছক ।
২) ফ্লাইটে কি ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া সম্ভব?
সাধারণত উড়ানের নিজস্ব ওয়াইফাই ব্যবস্থা থাকে। তবে আকাশে তার স্পিড থাকে খুবই কম। তবে এখন প্রযুক্তিগত কারণেই এই পরিষেবার মান বদলাচ্ছে। শিকাগো শহরের এক বিমান পরিষেবা তে গোগো এয়ার ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে থাকে। ২০০৮ সালে ডেলটা, এয়ার ফ্রান্স, কে এল এম, এয়ারওয়ে, ভার্জিন আটলান্টিকের বিভিন্ন বিমানে ৩ এমবিপিএস গতিতে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া যেত। বর্তমানে সেই স্পিড ছুঁয়েছে ১৫ এমবিপিএসে।
আরও পড়ুন :হোয়াটসঅ্যাপে খুব শীঘ্রই আসতে চলেছে কনফারেন্স ভিডিও কলের সুবিধা
৩) ফ্লাইটে ইন্টারনেট পরিষেবার খরচ কেমন?
ফ্লাইটে ইন্টারনেট খরচ খুব কম বলা চলে না না। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের বিমানে ১০০ এমবি ফ্রি ডেটা দিয়ে থাকে। ভারতে এই সুবিধা শুধু মাত্র বিজনেস ক্লাসেই পাওয়া যায়। ইকোনমি ক্লাসে সেই পরিষেবা পেতে ৩৩৫ টাকা ব্যয় করতে হবে। ইন্টারনেট পরিষেবার খরচের দিক থেকে দেখলে বিমানে আর মাটিতে ফারাক আশমান-জমিনের মতোই বলা চলে। আকাশে ১৫০ এমবি-র ডাটা প্যাকের জন্য মূল্য ধার্য রয়েছে ৬৬৬ টাকা। ৫০০ এমবি-র ডাটা প্যাক নিতে গেলে খরচ পড়বে ১০৬৭ টাকা।
আরও পড়ুন :ফোর্থ ইডিয়ট? আমির খানকে কী ইঙ্গিত দিলেন অমিতাভ বচ্চন ?
৪) কোন কোন সংস্থার বিমানে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়?
ট্রাইয়ের তথ্য অনুযায়ী ৩০টিরও বেশি এয়ারলাইন্সের বিমানে ভ্রমণ করার সময়ে মোবাইলে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করা যায়। চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত একটি খবর অনুযায়ী AirAsia, Air France, British Airways, Egypt Air, Emirates, Air New Zealand, Malaysia Airlines, Qatar Airways and Virgin Atlantic প্রভৃতি সংস্থার বিমানে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন।