/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/19/electric-bill-2025-08-19-12-08-39.jpg)
Electric Bill: জেনে নিন বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়।
Tips to Save Electricity Bill: মাত্রারিক্ত বিদ্যুৎ বিল কালঘাম ছোটাচ্ছে? আপনার বাড়ির বিদ্যুতের বিল অর্ধেক করতে চান? সেজন্য আপনাকে সামান্য কিছু টিপস অনুসরণ করতে হবে। কী সেগুলো, তা জানতে পারবেন এই প্রতিবেদনে। সেগুলো মেনে চললেই ঝটপট কমে যাবে আপনার বিদ্যুতের বিল। ৪০০০-এর বিল নেমে আসবে ৪০০-তে। এর জন্য প্রথমেই জানা দরকার, বাড়ির কোন ৫টি বৈদ্যুতিক যন্ত্র সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে?
আরও পড়ুন- উপহার হোক নান্দনিক,স্মার্ট! ভাইফোঁটায় বোনকে দিন সেরা চমক, রইলো চোখধাঁধানো উপহারের তালিকা
বাড়ির বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির মধ্যে এমন কিছু যন্ত্র আছে যেগুলি হুহু করে বাড়িতে দেয় বিদ্যুৎ বিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতে বিদ্যুৎ খরচ কমানোর জন্য এই যন্ত্রগুলোর সচেতন ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম স্থানে রয়েছে এসি। দিনে ৮–১০ ঘণ্টা চালানো হলে আপনার মাসিক বিদ্যুৎ বিলের প্রায় ৪০% পর্যন্ত বাড়তে পারে। শীতকালে গিজারও রয়েছে এই তালিকায়। তবে ৫-স্টার এনার্জি রেটিং সহ গিজার/এসি ব্যবহার এবং সময়মতো অফ-অন বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমাতে সাহায্য করে।
আপনার বাড়িতে যদি পুরনো ফ্রিজ থাকে এবং সেটি যদি আপনি সারাদিন ব্যাবহার করে তাহলেও বাড়তে পারে আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল। পুরনো বা লো স্টার রেটিং ফ্রিজে মাসিক বিদ্যুৎ বিল বাড়তে পারে প্রায় ১০–১৫%। ফ্রিজকে দেওয়াল থেকে কিছুটা সরিয়ে রাখা,বারবার খোলা থেকে বিরত থাকা বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন- পেট্রোল খরচ অতীত,মাইলেজের রাজা! নতুন মোড়কে তুফানি গতি, ঝড় তুলবে Hero Splendor ইলেকট্রিক
ওয়াশিং মেশিন সাধারণভাবে কম বিদ্যুৎ খরচ করে, তবে ড্রায়ারের অতিরিক্ত ব্যবহার বিল বাড়ায়। নর্মাল বা ইকো মোডে ধোয়া বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারে। শেষে আয়রন ও মাইক্রোওয়েভ বিদ্যুৎ খরচ বাড়ায়।
এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বাড়ির বিদ্যুৎ বিল একধাক্কায় ৪হাজার থেকে নেমে আসবে ৪০০-তে?
একথা ইতিমধ্যেই সবাই জানেন যে বিদ্যুতের বিল কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল এলইডি (LED) বাল্ব বা টিউব ব্যবহার। কারণ, এলইডিতে বিদ্যুৎ কম খরচ হয়। বেশি আলো দেয়। পাশাপাশি, সাধারণ বাল্বের তুলনায় এলইউডি বাল্ব বেশিদিন ধরেও চলে। তবে, এলইডির মাধ্যমে বিদ্যুতের বিল কমানো হলেও, তাতে খুব বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, এক্ষেত্রে বিল কমবে সামান্যই। তাই ভারতের মত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বিদ্যুতের বিল কমাতে সৌরশক্তির সাহায্য নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন- ভাইফোঁটার বিশেষ মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দী করুন, এই স্মার্টগুলি দেবে DSLR-এর থেকেও দারুণ ছবি
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সূর্যের আলোর ব্যবহার
ভারতে প্রায় সারাবছরই অর্থাৎ বছরে প্রায় ৩০০ দিনই রোদ পাওয়া যায়। এর ফলে বিনামূল্যে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ থাকে। সেকথা মাথায় রেখে আগামী বছরগুলোতে বিদ্যুৎ বিল কমাতে চাইলে ছাদে সৌর প্যানেল বানিয়ে ফেলা সকলের কাছেই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। প্রথমে ব্যাপারটা খরচাসাপেক্ষ হলেও একে এককালীন বিনিয়োগ হিসেবে ভাবলেই বোঝা যাবে যে খরচটা নামমাত্র। একথা মাথায় রাখতে হবে যে, বিদ্যুতের পিছনে যে অর্থ আমাদের খরচ হয়, তা সৌর প্যানেল বসানোর চেয়ে অনেক বেশি।
এই ব্যাপারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে, একটি ছোট ছাদে ১ কিলোওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। অবশ্য এটা নির্ভর করে, নির্দিষ্ট এলাকায় কত পরিমাণে সূর্যালোক পাওয়া যায় তার ওপর। সূর্যের আলো থেকে তৈরি এই বিদ্যুতের সাহায্যে একটি পাখা, কয়েকটি আলো, এমনকী একটি ছোট যন্ত্র চালানোও কোনও ব্যাপারই না।
রেফ্রিজারেটর বা এয়ার কন্ডিশনারের মত যন্ত্রপাতি থেকে প্রচুর বিদ্যুতের বিল ওঠে। তাই এই ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার সময় সবসময় পাওয়ার সেভিং মডেলগুলি বেছে নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে বেশি স্টার আছে এমন মডেলগুলি বেছে নেওয়াই ঠিক। কারণ, এগুলি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এবং বহুদিন টেকে। পাশাপাশি আজকাল অনেকেই পরিবেশবান্ধব বাড়ি বানাচ্ছেন। এতে প্রচুর প্রকৃতির আলো, তাজা বাতাস ঘরে ঢোকে। তাই সবসময় আলো বা পাখা জ্বালানোর দরকার পড়ে না। পাশাপাশি, এই ধরনের বাড়িগুলোতে সৌরশক্তি সেটআপও থাকে। বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যবস্থাও থাকে এই বাড়িগুলোতে।
আরও পড়ুন- মনে রাখতে পারছেন না? এই কায়দায় মাত্র ২ মিনিটে বাড়ান স্মৃতিশক্তি!
এছাড়াও যেগুলো করবেন
১) এসি সবসময় চালিয়ে রাখার বদলে সিলিং বা টেবিল ফ্যান ব্যবহার করুন। কারণ, ফ্যানের বিদ্যুতের বিল ঘন্টায় ৩০ পয়সা। আর, এসির ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এসি চালালেও তাই তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা উচিত। এতে খুব বেশি বিদ্যুৎ যেমন খরচ হবে না। তেমনই সহজেই আরাম মিলবে। ২) প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা রাখতে ঘরের চারপাশে পরদা টাঙান, গাছ লাগান। এসি চালালে ঘরের দরজা বন্ধ রাখুন, যাতে ঠান্ডা বাতাস ভিতরে আটকে থাকে। ৩) প্রতিমাসে এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। তাতে এসির বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। এসি খুব পুরোনো হলে, নতুন পাওয়ার সেভিং মডেল কেনার কথা ভাবুন। এটি দীর্ঘমেয়াদে আপনার আর্থিক লাভই হবে।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us