Heart attack from loud noise: কতটা জোরে শব্দ হতে পারে মৃত্যুর কারণ? ভয়ঙ্কর এই তথ্য জানেন না ৯৯% মানুষই।
শুধু কানে ব্যথা বা শ্রবণশক্তি হ্রাসই নয়—অতিরিক্ত জোরে শব্দ মৃত্যু পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। সম্প্রতি গবেষণা ও চিকিৎসদের পর্যবেক্ষণ বলছে, উচ্চমাত্রার শব্দ দীর্ঘ সময় ধরে শুনলে শরীরের একাধিক অঙ্গের উপর গুরুতর প্রভাব পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, এমন বিকট শব্দ হৃদযন্ত্রে চাপ সৃষ্টি করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে।
কতটা জোরে শব্দ মৃত্যুর কারণ হতে পারে?
প্রত্যেক ব্যক্তির শ্রবণশক্তির একটি সীমা থাকে, কারো একটু বেশি আবার কারো একটু কম। হিয়ারিং হেলথ ফাউন্ডেশনের মতে, ৭০ ডেসিবেল বা তার কম শব্দ একজন ব্যক্তির জন্য নিরাপদ। এর চেয়ে জোরে শব্দ একজন ব্যক্তির জন্য বিপজ্জনক। শব্দের মাত্রা ৮৫ ডেসিবেল ছাড়ালেই কানের ক্ষতি শুরু হয়, দীর্ঘসময়ে বধিরতার আশঙ্কা থাকে। ১২০ ডেসিবেলের ওপর শব্দ শরীরের মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে,মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মিউজিক ডিভাইস ইয়ারফোন, ইয়ারবাডের ভলিউম ৭৫-৮০ ডেসিবেলে এবং ফুল ভলিউম ১০০ থেকে ১১০ ডেসিবেলে অনেক সময় পৌঁছে যায়। এত জোরে শব্দ একটানা শোনা যে কোন সময়ে ভয়ঙ্কর বিপদ ডেকে আনতে পারে।
১৮৫–২০০ ডেসিবেল পর্যন্ত শব্দ (যেমন: বিস্ফোরণ বা বিশেষ সামরিক অস্ত্রের শব্দ) হার্ট অ্যাটাক, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা তাৎক্ষণিক মৃত্যু ঘটাতে পারে।
DJ পার্টি, বিয়েতে তারস্বরে গান কি বিপজ্জনক?
বর্তমানে পার্টি, বিয়ে বা রাস্তার অনুষ্ঠানগুলোতে ডিজে সাউন্ড সিস্টেমে খুব জোরে গান বাজানো হচ্ছে। এইসব অনুষ্ঠানে শব্দের মাত্রা অনেক সময় ১০০–১২০ ডেসিবেল ছুঁয়ে ফেলে, যা দীর্ঘ সময় ধরে শুনলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
উচ্চ শব্দে কী কী ক্ষতি হতে পারে?
- মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও মাথাব্যথা
- হার্ট রেট বেড়ে হার্ট অ্যাটাক
- শ্রবণশক্তি হ্রাস বা বধিরতা
- মানসিক চাপ, ঘুমের সমস্যা, স্মৃতিভ্রংশ
- মনোযোগের অভাব, সহজেই রেগে যাওয়া
- বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও উচ্চরক্তচাপ বা হার্টের রোগে আক্রান্তদের জন্য উচ্চ শব্দ অত্যন্ত বিপজ্জনক।
চিকিৎসকদের পরামর্শ:
- উচ্চ শব্দ পরিবেশে খুব বেশি সময় না কাটানো
- ইয়ারফোন/হেডফোনে ৬০% এর বেশি ভলিউমে গান না শোনা
- DJ বা বড় সাউন্ড সিস্টেম থাকলে দূরত্ব বজায় রাখা
- শ্রবণশক্তি হ্রাস পেলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া