Reduce Summer Electricity Bill: এই গ্রীষ্মেই কি আপনার বিদ্যুতের বিল অর্ধেক করতে চান? তাহলে, সেজন্য আপনাকে সামান্য কিছু কায়দা অনুসরণ করতে হবে। কী সেগুলো, তা জানতে পারবেন এই প্রতিবেদনে। এবার সেগুলোকে মেনে চললেই ঝটপট কমে যাবে আপনার বিদ্যুতের বিল।
একথা ইতিমধ্যেই সবাই জানেন যে বিদ্যুতের বিল কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হল এলইডি (LED) বাল্ব বা টিউব ব্যবহার। কারণ, এলইডিতে বিদ্যুৎ কম খরচ হয়। বেশি আলো দেয়। পাশাপাশি, সাধারণ বাল্বের তুলনায় এলইউডি বাল্ব বেশিদিন ধরেও চলে। তবে, এলইডির মাধ্যমে বিদ্যুতের বিল কমানো হলেও, তাতে খুব বেশি লাভ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, এক্ষেত্রে বিল কমবে সামান্যই। তাই ভারতের মত গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বিদ্যুতের বিল কমাতে সৌরশক্তির সাহায্য নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন- দামি কন্ডিশনারের দরকার নেই, দই দিয়েই নিয়মিত চুল করুন পরিপাটি
বিদ্যুৎ উৎপাদনে সূর্যের আলোর ব্যবহার
ভারতে প্রায় সারাবছরই অর্থাৎ বছরে প্রায় ৩০০ দিনই রোদ পাওয়া যায়। এর ফলে বিনামূল্যে প্রচুর পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুযোগ থাকে। সেকথা মাথায় রেখে আগামী বছরগুলোতে বিদ্যুৎ বিল কমাতে চাইলে ছাদে সৌর প্যানেল বানিয়ে ফেলা সকলের কাছেই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। প্রথমে ব্যাপারটা খরচাসাপেক্ষ হলেও একে এককালীন বিনিয়োগ হিসেবে ভাবলেই বোঝা যাবে যে খরচটা নামমাত্র। একথা মাথায় রাখতে হবে যে, বিদ্যুতের পিছনে যে অর্থ আমাদের খরচ হয়, তা সৌর প্যানেল বসানোর চেয়ে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন- ১৮৮ বছর পর কিং কোবরার রহস্যভেদ! এক নয়, চার চারটি ভয়ংকর প্রজাতি চিহ্নিত করলেন বিজ্ঞানীরা
এই ব্যাপারে জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য যে, একটি ছোট ছাদে ১ কিলোওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রতিদিন প্রায় ৪ থেকে ৫ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে। অবশ্য এটা নির্ভর করে, নির্দিষ্ট এলাকায় কত পরিমাণে সূর্যালোক পাওয়া যায় তার ওপর। সূর্যের আলো থেকে তৈরি এই বিদ্যুতের সাহায্যে একটি পাখা, কয়েকটি আলো, এমনকী একটি ছোট যন্ত্র চালানোও কোনও ব্যাপারই না।
আরও পড়ুন- রাসায়নিক নয়, চুলে রং আনতে মেহেন্দি-চায়ের গুঁড়োই যথেষ্ট, সাদা চুল ঢাকবে সহজেই!
শক্তি-সাশ্রয়ী মডেল বেছে নেওয়া
রেফ্রিজারেটর বা এয়ার কন্ডিশনারের মত যন্ত্রপাতি থেকে প্রচুর বিদ্যুতের বিল ওঠে। তাই এই ধরনের যন্ত্রপাতি কেনার সময় সবসময় পাওয়ার সেভিং মডেলগুলি বেছে নেওয়া দরকার। এক্ষেত্রে বেশি স্টার আছে এমন মডেলগুলি বেছে নেওয়াই ঠিক। কারণ, এগুলি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এবং বহুদিন টেকে। পাশাপাশি আজকাল অনেকেই পরিবেশবান্ধব বাড়ি বানাচ্ছেন। এতে প্রচুর প্রকৃতির আলো, তাজা বাতাস ঘরে ঢোকে। তাই সবসময় আলো বা পাখা জ্বালানোর দরকার পড়ে না। পাশাপাশি, এই ধরনের বাড়িগুলোতে সৌরশক্তি সেটআপও থাকে। বৃষ্টির জল সংগ্রহের ব্যবস্থাও থাকে এই বাড়িগুলোতে।
আরও পড়ুন- কারিপাতার এই মিশ্রণের সঙ্গে একচামচ তেল মিশিয়ে মাথায় লাগান, খুশকি-রুক্ষতা উধাও হবে!
এছাড়াও যেগুলো করবেন
১) এসি সবসময় চালিয়ে রাখার বদলে সিলিং বা টেবিল ফ্যান ব্যবহার করুন। কারণ, ফ্যানের বিদ্যুতের বিল ঘন্টায় ৩০ পয়সা। আর, এসির ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়তে পারে। এসি চালালেও তাই তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখা উচিত। এতে খুব বেশি বিদ্যুৎ যেমন খরচ হবে না। তেমনই সহজেই আরাম মিলবে। ২) প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা রাখতে ঘরের চারপাশে পরদা টাঙান, গাছ লাগান। এসি চালালে ঘরের দরজা বন্ধ রাখুন, যাতে ঠান্ডা বাতাস ভিতরে আটকে থাকে। ৩) প্রতিমাসে এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন। তাতে এসির বিদ্যুৎ খরচ কম হবে। এসি খুব পুরোনো হলে, নতুন পাওয়ার সেভিং মডেল কেনার কথা ভাবুন। এটি দীর্ঘমেয়াদে আপনার আর্থিক লাভই হবে।