Advertisment

টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করুন, মাদ্রাজ হাইকোর্টের আবেদন কেন্দ্রকে

মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চের দাবি, টিকটক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি, বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে, এবং অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

টিকটকে মজেছে গোটা বিশ্ব। গান, মজার মজার সংলাপে অভিনয় করে সেই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে মাহির নেটপাড়ার একাংশ। এই দলে ভিড়েছেন তারকারাও। কিন্তু এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও অ্যাপটি ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

Advertisment

মাদ্রাজ হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চের দাবি, টিকটক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি এবং অপসংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টিকটক ডাউনলোড নিষিদ্ধ করার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশিকা জারি করে মাদ্রাসা হাইকোর্ট। তামিলনাড়ুর তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী এম মণিকন্দন বলেছিলেন, রাজ্যে টিকটক বন্ধ করতে কেন্দ্রের সাহায্য চাই। ঠিক তার দু-মাস পরেই নিষিদ্ধ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে কেন্দ্রকে।

আরও পড়ুন: ইন্টারনেটের পরিকাঠামো উন্নত হওয়া প্রয়োজন: জুকারবার্গ

বিচারপতি এন কিরুবকরন ও এস এস সুন্দরের ডিভিশন বেঞ্চ নিষেধাজ্ঞার আবেদন করার কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, ভারতের সংস্কৃতির অপব্যবহার করা হচ্ছে। আবেদনে বার বার বিষয়টিকে 'বিপজ্জনক' বলে তুলে ধরা হয়েছে।

বর্তমানে চিনা অ্যাপ টিকটক ভারতে ব্যবহার করছেন প্রায় ১০ কোটি ৪০ লক্ষ মানুষ। ২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি ডাউনলোড করা অ্যাপগুলোর মধ্যে টিকটক অন্যতম।

ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাইবার শিকারে পরিণত হওয়ার আগেই, 'শিশু অনলাইন গোপনীয়তা আইন' পাশ করেছে। পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ উল্লেখ করেছে, এই আইন ভারতেও বলবৎ করার প্রয়োজন রয়েছে। যেভাবে ব্লু হোয়েল গেম নিষিদ্ধ হয়েছে, সে ভাবেই টিকটক নিষিদ্ধ হোক, দাবি একাংশের।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আসা ভুয়ো খবর ধরবেন কীভাবে?

"টিকটক মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে অনেকে অপসংস্কৃতির শিকার হয়েছেন। দেখা গেছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে কোথাও শিশুদের নিয়ে অশ্লীল ভিডিও তৈরি হচ্ছে। এমনকী, ভিডিওতে মশকরা সহ্য করতে না পেরে গত বছর এক ব্যক্তি আত্মঘাতীও হয়েছিলেন। যে নির্দেশ কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়েছে, সেখানে মুম্বইয়ে ১৭ বছরের এক তরুণের আত্মহত্যার কারণকে উদ্ধৃত করে টিকটক অ্যাপ নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।"

মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ আজ, ১৬ এপ্রিল নির্ধারত করা হয়েছে। সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে , যুক্তরাষ্ট্রের শিশু অনলাইন গোপনীয়তা সুরক্ষা আইনের মতো এদেশেও সেই আইন চালু করা যাবে কিনা।

Read the full story in English

Advertisment