New Born Baby : জন্মের পর শিশুদের মনে কী চলে? জানলে চমকে যাবেন, নয়া তথ্য উঠে এল গবেষণায়
ছোট বাচ্চাদের নিজস্ব একটা জগৎ আছে এবং তারা এই জগৎকে ইশারার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি তারা ক্ষুধার্ত থাকে, তাহলে তারা তা বোঝানোর তারা কাঁদে। যদি তারা কোনও কিছুতে বিরক্ত হয়, তাহলেও তারা কাঁদে। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজগুলির মধ্যে একটি হল ছোট বাচ্চাদের ইশারার অর্থ বোঝা। এসবের মাঝে শিশুদের ব্রেইন নতুন কিছুকে বোঝার, রপ্ত করা চেষ্টা চালিয়ে যায়।
প্রাপ্তবয়স্করা তাদের মনের ভাব এবং কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের হৃদয়ে কী চলছে তা প্রকাশ করতে পারে, কিন্তু শিশুরা তা পারে না। এমন পরিস্থিতিতে, আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে জন্মের পরপরই শিশুদের মনে কী চলছে?
আসলে, জন্মের পরপরই শিশুদের মস্তিষ্কের অস্থিরতা বোঝার জন্য অনেক ধরণের গবেষণা চলছে। বিজ্ঞান তাদের অঙ্গভঙ্গি বোঝার জন্য তার কাজ করছে, তবে আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে আসার পর শিশুদের মস্তিষ্কে কী ধরণের কার্যকলাপ ঘটে।
ব্রিটেনের বার্কবেক কলেজে একটি বেবি ল্যাব রয়েছে, যেখানে শিশুদের জন্মের পর তাদের মানসিকতা বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি গবেষণা অনুসারে, প্রতি সেকেন্ডে একটি নবজাতক শিশুর মস্তিষ্কে দশ লক্ষেরও বেশি নতুন নিউরাল সংযোগ তৈরি হয়। এর অর্থ হল তাদের মস্তিষ্ক সর্বদা সক্রিয় থাকে।
কিছু গবেষণা বলছে যে শিশুরা যখন চুপচাপ আপনার কথা শুনছে, তখনও তাদের মনে অনেক কিছু চলে। বিশেষ করে মস্তিষ্কের পিছনের অংশে, যাকে বলা হয় সামাজিক মস্তিষ্ক (social brain)। শিশুদের এই সামাজিক মস্তিষ্ক (social brain) জন্মের পরপরই কাজ শুরু করে। তারা তাদের চারপাশের জগৎকে বোঝার চেষ্টা করে। তারা তাদের চারপাশের মানুষের আচরণও খুব দ্রুত বোঝার চেষ্টা করে।
বলা হয় যে জন্মের পরের কয়েক বছর শিশুর মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে। তারা মানুষকে চিনতে শুরু করে এবং নতুন সংযোগ তৈরি করে। সে পৃথিবী দেখতে, শুনতে এবং অনুভব করতে শেখে, যেখানে শিশুদের মস্তিষ্ক ক্রমাগত কাজ করে তাকে সেগুলি বুঝতে সাহায্য করে।
গবেষণায় আরও জানা গিয়েছে, শিশুর মস্তিষ্ক সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে জন্মের পরের কয়েক বছরে। এই সময়েই তারা নতুন জগৎকে দেখতে, শুনতে ও অনুভব করতে শেখে। সঙ্গে সঙ্গে তারা তৈরি করে নতুন নতুন সংযোগ— যা পরবর্তী জীবনে চিন্তা, বুদ্ধি ও অনুভবের ভিত্তি তৈরি করে। অতএব, শিশুরা চুপ থাকলেও, মনে রাখতে হবে তারা কখনওই নিষ্ক্রিয় নয়। বরং তাদের ছোট্ট মস্তিষ্কের ভিতরে গড়ে উঠছে এক নতুন পৃথিবী— যা প্রতিটি মুহূর্তে গঠিত হচ্ছে নতুন অভিজ্ঞতার ছোঁয়ায়।