Sudarshan Chakra S-400: আকাশেই শত্রুর মৃত্যুবার্তা! ভারতের S-400 অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেমের শক্তি সম্পর্কে জানলে গায়ে কাঁটা দেবে।
অপারেশন সিন্দুরের পর লাহোরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে পাকিস্তানকে উপযুক্ত জবাব ভারতের। পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার জবাবে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর মাধ্যমে তার যোগ্য জবাব দিয়েছে। ভারতের গতকালের প্রতিশোধমূলক অভিযানে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে নির্ভুল হামলা চালানো হয়। এর পর থেকেই পাকিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকায় উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে এবার ভারতীয় বাহিনী এর কড়া জবাব দিয়েছে।
ভারতের পাল্টা পদক্ষেপে লাহোরে পাকিস্তানের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে লাহোরে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করে। অন্যান্য সীমান্তবর্তী এলাকাতেও বিস্ফোরণের খবর আসে। ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) দুপুর ২:৩৪ মিনিটে একটি বিবৃতি জারি করে জানায় যে পাকিস্তানের যুদ্ধং দেহি মনোভাব ব্যর্থ হয়েছে এবং ভারত সঠিকভাবে পাক হামলার জবাব দিয়েছে। লাহোরে এয়ার ডিসেন্স সিস্টেম গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
৭ ও ৮ মে মধ্য রাতে পাকিস্তান ভারতের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করে। সে তালিকায় ছিল অবন্তীপুরা, শ্রীনগর, জম্মু, পাঠানকোট, অমৃতসর, জলন্ধর, লুধিয়ানা, আদমপুর, চণ্ডীগড়, ভুজ সহ ১৫টি শহর। তবে, ভারতের S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এই আক্রমণগুলিকে প্রতিহত করে। হামলার পরে বিস্ফোরক ও ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে, এর পরই পাকিস্তানের যোগসূত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারত।
S-400 ক্ষেপণাস্ত্র কী?
S-400 ক্ষেপণাস্ত্রকে ভারতের সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা যেকোনো মিসাইল হানা রুখতে সক্ষম। বিশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়া থেকে কেনা হয়েছিল; এটি কেনার জন্য প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি হয়েছিল। এরপর ২০১৮ সালে S-400 ক্ষেপণাস্ত্র কেনা হয়। ভারত রাশিয়ার কাছ থেকে পাঁচটি ইউনিট ক্ষেপণাস্ত্র কিনেছিল এবং এই ক্ষেপণাস্ত্রটি এতটাই শক্তিশালী যে এটি উন্নত যুদ্ধবিমানকেও গুলি করে ভূপাতিত করতে পারে। এছাড়াও, এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একসাথে ৭২টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়তে সক্ষম। এর শক্তি এতটাই যে এটি আকাশ পথে যে কোন মিসাইল হানা থামিয়ে দিতে পারে।
S-400 ক্ষেপণাস্ত্রের শক্তি
S-400 কে বিশ্বের সেরা বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে চারটি ভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে, যা ৪০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। S-400-এ দুটি পৃথক রাডার সিস্টেম রয়েছে, যা ৬০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত আকাশে লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করতে পারে এবং একই সাথে ৮০টি আকাশে লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করতে পারে। একবার সিস্টেমটি সক্রিয় হয়ে গেলে, সংকেত পাওয়ার ৩ মিনিটের মধ্যে এটি ফায়ারিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। এর অর্থ শত্রুর আক্রমণ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যর্থ হয়ে যায়।