New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/08/teqe6uKUMYDxUyV3h8Tz.jpg)
Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনা।
Operation Sindoor: পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধে ভারত 'অপারেশন সিঁন্দুর' চালিয়ে পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই অভিযানে ব্যবহৃত হয়েছে এলএমএস প্রযুক্তি, যা লক্ষ্যবস্তু শনাক্ত করে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হেনেছে।
Indian Air Force: ভারতীয় বায়ুসেনা।
Army Operation Sindoor Technology: ২২ এপ্রিল, ২০২৫—এই দিনটি ভারতের ইতিহাসে একটি গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছিল। জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে এক ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন ভারতীয় পর্যটক। দেশজুড়ে শুরু হয় ক্ষোভ, দুঃখ ও প্রতিশোধের দাবি। প্রায় দুই সপ্তাহ সকলেই ধরে নিয়েছিলেন, ভারত হয়তো কূটনৈতিক স্তরেই বিষয়টি মোকাবিলা করবে। কিন্তু বাস্তব হল ভিন্ন। সেই বাস্তবের নাম ‘অপারেশন সিঁন্দুর’।
এই অভিযানে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (POK) অবস্থিত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী। এই হামলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল—ভারতের কোনও সেনা সীমান্ত পার করেননি। এই সাফল্যের নেপথ্যে ছিল অত্যাধুনিক লয়টারিং মিউনিশন সিস্টেম (LMS) প্রযুক্তি।
LMS-এর পুরো নাম Loitering Munition System। একে সাধারণভাবে ‘কামিকাজি ড্রোন’ও বলা হয়। এই প্রযুক্তি এমন একধরনের স্মার্ট অস্ত্র, যা শত্রুর নির্দিষ্ট অবস্থানে গিয়ে আকাশে ঘোরাফেরা করে এবং সঠিক সময় আসলেই তা ধ্বংস করে দেয়। এই ড্রোনগুলি লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে এবং তারপর নিজেকে বিস্ফোরণ করে সেই লক্ষ্যবস্তু নিশ্চিহ্ন করে দেয়।
এই প্রযুক্তির সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, collateral damage হয় না— অর্থাৎ অন্যান্য বাড়ি বা সাধারণ মানুষের ক্ষতি ছাড়াই শুধু নির্দিষ্ট লক্ষ্য ধ্বংস হয়।
আরও পড়ুন- অবিশ্বাস্য! মাত্র ৪২,০০০ টাকায় কিনুন 'ব্র্যান্ড নিউ' স্কুটার! ভয়ঙ্কর মাইলেজে তোলপাড় ফেলবে বাজারে
পহেলগাঁও হামলার পর গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, যে নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি এই হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল, সেগুলোকে চিহ্নিত করা হয়। এরপর ভারতীয় সেনাবাহিনী নির্ধারিত সময়েই LMS মোতায়েন করে। সীমান্তের ওপারে থাকা টার্গেটের ওপর ঘোরাফেরা করতে থাকে এই ড্রোনগুলি। লক্ষ্য নিশ্চিত হতেই একটি একটি করে ধ্বংস হয় শত্রুর ঘাঁটি। এতে সেনার কোনও প্রাণহানি হয়নি, এবং অসামরিক ক্ষতিও হয়নি।
আরও পড়ুন- ১৫ হাজারের কমে ২০০MP ক্যামেরার দুর্দান্ত স্মার্টফোন কেনার বিরাট সুযোগ, ঝড় তুলল Redmi
LMS-এ ব্যবহৃত হয় GPS গাইডেন্স, রিয়েল টাইম ভিডিও ফিড, AI বেসড টার্গেটিং সিস্টেম এবং অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক কমিউনিকেশন। এই ড্রোনগুলির পাল্লা কয়েকশো কিলোমিটার পর্যন্ত হয় এবং বেশ কিছু সময় ধরে শত্রুর অবস্থানে নজরদারি করতে সক্ষম এই ড্রোনগুলো।
এই অপারেশনের মাধ্যমে ভারত শুধু প্রতিশোধ নেয়নি, বরং একটি শক্তিশালী বার্তা দিয়েছে যে— সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। প্রয়োজন হলে ভারত উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে সীমান্তের বাইরে থেকেও প্রতিশোধ নিতে পারে, এই বার্তাও দেওয়া হয়েছে
আরও পড়ুন- ব্যাটারি, দুর্দান্ত ডিসপ্লে, বাজার কাঁপিয়ে আসছে এই পাওয়ারফুল স্মার্টফোন
অপারেশন সিঁন্দুরের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, “এই মিশন গোটা দেশের জন্য গর্বের বিষয়। অপারেশন সিঁন্দুর শুধু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থানকেই যে স্পষ্ট করেছে, তা-ই নয়, বরং আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতিও বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে।”
অপারেশন সিঁন্দুর ছিল প্রযুক্তি নির্ভর, পরিকল্পিত এবং প্রতিশোধমূলক একটি অভিযান। আর এই মিশনের তুরুপের তাস—LMS প্রযুক্তি।