Passwords Leaked cyber crime : পাসওয়ার্ড কীভাবে ফাঁস হয়? ৯০% মানুষ অজান্তেই এই ভুলটাই করেন, আজকের এই প্রতিবেদনে জানুন হ্যাকাররা ঠিক কীভাবে ডেটা চুরি করে?
আজকের ইন্টারনেটের যুগে আমাদের প্রায় সব ব্যক্তিগত ও পেশাগত তথ্য অনলাইনে সংরক্ষিত। ব্যাংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেল, ক্রেডিড-ডেবিট কার্ড- সব অ্যাকাউন্টই নিরাপদ রাখতে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করি আমরা। কিন্তু জানেন কি, ঠিক কোন কৌশলে আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাকারদের হাতে মুহূর্তে চলে যায়?
সাইবার অপরাধীরা প্রতি মুহূর্তে চেষ্টা করে যাচ্ছে সাধারণ ব্যবহারকারীদের অনলাইন নিরাপত্তা ভেদ করে তথ্য হাতিয়ে নিতে। আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন, কীভাবে পাসওয়ার্ড ফাঁস হয় ও কীভাবে আপনি নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।
১. ফিশিং অ্যাটাক — আপনার ইমেলেই লুকিয়ে রয়েছে ফাঁদ
আপনার ব্যাংক বা সোশ্যাল মিডিয়ার নাম ব্যবহার করে হুবহু একই ইমেইল পাঠানো হয়। সেখানে লেখা থাকে “পাসওয়ার্ড রিসেট করুন” বা “ভেরিফাই করুন”—আপনি লিঙ্কে ক্লিক করলেই হ্যাকার পেয়ে যায় আপনার ব্যক্তিগত তথ্য।
২. ডেটা লঙ্ঘন — বড় কোম্পানির সার্ভার থেকেই চুরি হচ্ছে আপনার তথ্য
অনেক সময় হ্যাকাররা বড় বড় কোম্পানির সার্ভারে আক্রমণ করে লক্ষ লক্ষ ব্যবহারকারীর তথ্য চুরি করে। এর মধ্যে রয়েছে ইমেল, ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ডের মতো সংবেদনশীল তথ্য। যদি আপনি এমন কোনও ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে থাকেন যা লঙ্ঘিত হয়েছে, তাহলে আপনার পাসওয়ার্ডও ফাঁস হতে পারে।
৩. কীলগার — আপনি যা টাইপ করেন, সব নজরদারিতে
এটি একধরনের ম্যালওয়্যার যা আপনার কীবোর্ডে টাইপ করা প্রতিটি শব্দ রেকর্ড করে। আপনি লগইন করার সময় যা টাইপ করেন, তা সরাসরি পৌঁছে যায় হ্যাকারদের কাছে।
৪. ব্রুট ফোর্স — পাসওয়ার্ড অনুমানের মাধ্যমে ভাঙার চেষ্টা
‘123456’, ‘password123’ এর মতো সাধারণ পাসওয়ার্ড খুব সহজেই ভেঙে ফেলা যায়। সফটওয়্যার ব্যবহার করে হ্যাকাররা হাজারো কম্বিনেশন চেষ্টা করে যতক্ষণ না সঠিক পাসওয়ার্ড মিলে যাচ্ছে।
৫. পাবলিক Wi-Fi — ফ্রি ইন্টারনেটেই লুকিয়ে হ্যাকার
ক্যাফে, মল বা বিমানবন্দরের ফ্রি Wi-Fi ব্যবহার করার সময় হ্যাকাররা সহজেই আপনার লগইন ডেটা স্ক্যান করতে পারে। এতে পাসওয়ার্ড ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
নিজেকে সুরক্ষিত রাখার উপায়
শক্তিশালী ও ইউনিক পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
2-Factor Authentication (2FA) চালু রাখুন
অজানা লিঙ্ক ও ইমেইল থেকে দূরে থাকুন
পাবলিক Wi-Fi-তে লগইন এড়িয়ে চলুন
অ্যান্টিভাইরাস ও নিরাপত্তা সফটওয়্যার ব্যবহার করুন