NISAR Mission: আগামী বছর সবচেয়ে শক্তিশালী স্যাটেলাইট লঞ্চ করবে ISRO,বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচাবে বিশ্বকে!
ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISRO এবং মার্কিন মহাকাশ সংস্থা NASA যৌথভাবে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী উপগ্রহ তৈরি করেছে, যার নাম NISAR (NASA-ISRO Synthetic Aperture Radar)। এই স্যাটেলাইটটি আগামী বছরের শুরুর দিকে মহাকাশে প্রেরণ করা হবে।
বিশেষ এই শক্তিশালী স্যাটালাইট সারা বিশ্বে প্রাকৃতিকর দুর্যোগের কারণ যেমন ভূমিকম্প, ভূমিধস, দাবানল, ঘূর্ণিঝড়, হারিকেন, বৃষ্টি, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এবং টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধিকে সর্বক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবে। যে কোনো দুর্যোগের আগেই সতর্ক করবে এবং মানুষকে নিরাপদে থাকতে সাহায্য করবে।
বৈদ্যুতিক স্কুটারের জগতে আলোড়ণ! বাজারে আসছে Honda এর প্রথম ইভি, সামনে এল দিনক্ষণ
NISAR স্যাটেলাইটের বৈশিষ্ট্য
- প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কতা: NISAR স্যাটেলাইট আসন্ন ভূমিকম্প, ঝড়, আগ্নেয়গিরি, ভূমিধস এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক ঘটনা সম্পর্কে আগাম তথ্য প্রদান করবে। এর রাডার সিস্টেম সেন্টিমিটার স্তরে পৃথিবীর পৃষ্ঠের পরিবর্তনগুলি পরিমাপ করতে সক্ষম । বিশেষ এই শক্তিশালী স্যাটালাইট বলে দিতে পারে কোথায় কখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হতে পারে।
- ভূমিকম্পের সতর্কতা: NISAR টেকটোনিক প্লেটের গতিবিধি রেকর্ড করবে এবং বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম করবে কখন এবং কোথায় ভূমিকম্প হতে পারে। এই স্যাটেলাইটটি ১২ দিনে পৃথিবীরর চারপাশ প্রদক্ষিণ করবে পৃথিবীর প্রতিটি অংশে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রতি ১২ দিন অন্তর পৃথিবীর অবস্থা সম্পর্কে একটি নতুন রিপোর্ট পাঠাবে।
- বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপগ্রহ: NISAR স্যাটেলাইট হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল উপগ্রহ। এর নির্মাণে ব্যয় প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।
- প্রাকৃতিক দুর্যোগের তাৎক্ষণিক সতর্কতা: এই স্যাটেলাইট আসন্ন দুর্যোগ সম্পর্কে সময়মতো তথ্য দেবে, মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সময় দেবে।
-পৃথিবীপৃষ্ঠের পরিবর্তনের অধ্যয়ন: NISAR-এর মাধ্যমে, পৃথিবীর পৃষ্ঠে কী কী পরিবর্তন ঘটছে এবং কোন অঞ্চলগুলি দুর্যোগের ঝুঁকিতে রয়েছে তাও জানা সম্ভব হবে।
উৎসব শেষেও চলছে অফারের বন্যা, Ola ই-স্কুটারে পান হাজার হাজার ছাড়
কোথা থেকে উৎক্ষেপণ হবে?
GSLV-MK2 রকেটের মাধ্যমে NISAR স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের দ্বিতীয় লঞ্চ প্যাড থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
NISAR এর ভবিষ্যৎ
NISAR স্যাটেলাইটের মিশন পাঁচ বছর স্থায়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে এটি আরও বেশি সময় কাজ করতে পারে। এর উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রতি সতর্কতা বৃদ্ধি করা এবং সময়মত তথ্য প্রদানের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ জীবন বাঁচানো।
মানব ইতিহাসের সবচেয়ে শক্তিশালী স্যাটেলাইট NISAR আগামী বছরের শুরুতে উৎক্ষেপণ করা হবে। ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরো এবং মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা যৌথভাবে এই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে। শুধুমাত্র এই স্যাটেলাইটটি সারা বিশ্বে ঘটতে থাকা যেকোনো ধরনের দুর্যোগের বিষয়ে তথ্য দিতে সক্ষম। NASA-ISRO সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার (NISAR) উৎক্ষেপণের পর, এটি আসন্ন ভূমিকম্প সম্পর্কে সমগ্র বিশ্বকে তথ্য প্রদান করতে সক্ষম হবে।
কিভাবে কাজ করবে?
NISAR-এর L এবং S দুই ধরনের ব্যান্ড থাকবে। তারা উভয়েই পৃথিবীতে গাছ-গাছালির সংখ্যা ক্রমবর্ধমান এবং হ্রাসের দিকে নজর রাখবে এবং আলোর অভাব ও আধিক্যের প্রভাবগুলিও অধ্যয়ন করবে। এস ব্যান্ড ট্রান্সমিটার তৈরি করেছে ভারত এবং এল ব্যান্ড ট্রান্সপন্ডার তৈরি করেছে নাসা।