মহাজাগতিক নিউট্রিনো কণা পরিচিত ভূত কণা নামে। কেন ভূত কণা? কারণ এই কণা খুব উদ্বায়ী। যে কোনও পদার্থের মধ্যে দিয়েই চলে যেতে পারে। সম্প্রতি এক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে। নিউট্রিনো কণা নাকি ইলেকট্রনের চেয়ে ১ কোটি ভাগ হালকা।
সম্প্রতি ফিজিকাল রিভিউ লেটার জার্নালে প্রকাশিত হওয়া গবেষণায় এরকমটাই দাবি করা হচ্ছে। মহাকাশে ছড়িয়ে থাকা নিউট্রিনো কণার প্রায় কোনও ভরই নেই। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনে গ্রেস নামের সুপার কম্পিউটার গ্রেসের সাহায্যে গবেষকরা গণনা করেছেন। এখন সদ্য আবিষ্কৃত এই তথ্য নাকি মহাকাশের জন্ম রহস্য উদ্ঘাটনে সাহায্য করতে পারে অনেকটাই।
আরও পড়ুন, বৃহস্পতি গ্রহের ওপর আছড়ে পড়ল বিশালাকার গ্রহাণু, দেখুন ভিডিও
ভূত কণার কোনও চার্জ নেই, অথচ আছে প্রচুর এনার্জি। স্বভাবতই সবচেয়ে শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রও কিন্তু এর ওপর কোনও প্রভাব ফেলতে পারে না। চরম প্রতিকূলতার মধ্যেও নক্ষত্র, গ্রহ, ছায়াপথের মধ্যে দিয়েও অনায়াসে যাতায়াত করতে পারে এই কণা।
সুইৎজারল্যান্ডের জেনিভা শহরে সার্ন এর গবেষণার সময়ে বিজ্ঞানীরা বলেছিলেন নিউট্রিনো কণা আলোর গতিবেগের কাছাকাছিই বেগেই চলে। পরে যদিও প্রমাণ হয়, সেই অনুমান সত্যি নয়।
লন্ডনের উনিভার্সিটি কলেজের পিএইচডি পড়ুয়া আর্থার লুরেইরো জানিয়েছেন প্রতি সেকেন্ডে সূর্য থেকে কয়েক কোটি নিউট্রিনো কণা আমাদের বুড়ো আঙুল ভেদ করে চলে যাচ্ছে"।
আরও পড়ুন, চাঁদের প্রথম ছবি তুলে পাঠাল চন্দ্রযান-২, উচ্ছ্বসিত ইসরো
নিউট্রিনো যেকোনো সাধারণ পদার্থকেই অনায়াসে ভেদ করে চলে যেতে পারে | এমনকি সে পদার্থ যদি পৃথিবীর আকারের একটি গ্রহও হয় বা সূর্যের আকারের একটি নক্ষত্রও, তাতেও নিউট্রিনোকে আটকানো যাবে না |
একটি নিউট্রিনো কে আটকাতে অর্থাৎ কিনা তাকে সনাক্ত করতে গেলে হয় এমন কিছু দরকার যেটি অন্ততঃ কয়েক আলোকবর্ষ (আক্ষরিক অর্থেই!) পুরু হবে অথবা এমন কিছু যেটির ঘনত্ব একটি ‘নিউট্রন স্টার’(neutron star)এর অভ্যন্তরীণ ঘনত্বের (যা কিনা পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ১০১৪১০১৪ গুণ বেশি!) তুলনীয় হবে | সাধারণ পাঠকগণ আশা করি এর থেকে একটু হলেও বুঝতে পারছেন একটি নিউট্রিনো কে ধরার কাজটা ঠিক কতখানি মুস্কিলের |