Summer Relief Indoor Plant: এপ্রিলের শুরু থেকেই গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা আম-আদমির। প্রবল গরম থেকে মুক্তি পেতে এসির ব্যবহার বেড়েই চলেছে। দুপুরের তীব্র রোদের তাপে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এই প্রচন্ড তাপে ঠান্ডা থাকার উপায় খুঁজছেন সাধারণ মানুষ। আজকের এই প্রতিবেদনে জানুন এসি ছাড়াই কীভাবে এই ৫টি গাছ ঘরে লাগিয়ে পাবেন দুর্দান্ত শীতলতা।
কিন্তু কিছু গাছপালা আছে যেগুলি ঘরের তাপমাত্রা কমিয়ে দিতে কার্যকর ভূমিকা নেয় এবং প্রবল গরমে আপনার ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে যেসব গাছের চাহিদাও বেড়ে যায় এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই গাছগুলি।
স্নেক প্ল্যান্ট: বিশেষ ধরণের ইনডোর প্ল্যান্ট। জানলার কাছে রাখলে স্নেক প্ল্যান্ট তাপ শোষণ করে ঘরকে ঠান্ডা করে তুলতে সাহায্য করে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে অনেক সময় আমরা ঘরের ভেতরে গরম অনুভব করতে শুরু করি কিন্তু স্নেক প্ল্যান্ট সেই তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এই ইন্ডোর প্ল্যান্টের যত্ন নেওয়া সহজ এবং কম জলের প্রয়োজন।
এরিকা পাম: এই গাছটি পরিবেশে আর্দ্রতা বজায় রাখে। এটি বাতাসে থাকা বিষাক্ত উপাদানগুলিকেও পরিশোধন করে। এই ধরনের গাছপালা বেশিরভাগ বাড়ি এবং কর্পোরেট অফিসে রাখা হয়। এটি ঘরের ভিতরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
পিস লিলি: এই গাছটিও বাতাসে আর্দ্রতা বজায় রাখে, যা ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কম আলোতেও এই গাছ সহজেই বৃদ্ধি পায়। যে কারণে গরমে এই গাছটিকে ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে রাখা গরম থেকে রেহাই পাওয়ার এক দুর্দান্ত বিকল্প। উপরন্তু, এটি বাতাসকে শুদ্ধ করে এবং বাতাসে উপস্থিত দূষিত পদার্থের উপস্থিতি কমায়। গ্রীষ্মে ঘরে প্রাকৃতিক শীতলতা বজায় রাখার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত ইন্ডোর প্ল্যান্ট।
বস্টন ফার্ন: এটি একটি বিশেষ ধরণের ইন্ডোর প্ল্যান্ট, খুব কম আলোতেও ভালভাবে বাড়ে। এর জন্য নিয়মিত জল এবং ছায়া প্রয়োজন। এই গাছটি বাতাসে আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং ঘরের তাপমাত্রা কিছুটা কমাতেও সাহায্য করে।
মানি প্ল্যান্ট: বেশিরভাগ মানুষের বাড়িতে এই গাছটি দেখা যায়। এই গাছটি বাতাসকে বিশুদ্ধ করে পাশাপাশি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, গ্রীষ্মে শীতল অনুভূতি দেয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এই গাছের পরিচর্যায় খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয় না। বাস্তু এবং ফেং শুই অনুসারে, এটি এমন একটি উদ্ভিদ হিসাবেও বিবেচিত হয় যা জীবনে সৌভাগ্য এবং ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি করে।