কেবল এবং ডিটিএইচ পরিষেবায় যে নতুন পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে তাতে আগামী দিনে লাভের মুখ দেখতে চলেছে বিভিন্ন সংস্থা। তবে এই পরিকাঠামো বাস্তবায়নের পর মিশ্র প্রতিক্রয়া পেয়েছে জনগণের কাছ থেকে। গ্রাহক এবং স্থানীয় কেবল অপারেটরা এই পরিকাঠামো বদলের বিরোধীতা করলেও ডিটিএইচ অপারেটররা এই নতুন নিয়মে লাভবান হয়েছেন বলে জানিয়েছে ট্রাই।
টেলিকম টকে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাই মনে করছে এই নতুন নিয়মের জন্য প্রকাশ্যে এসেছে 'কোন চ্যানেলের জন্য কত টাকা'র নিয়ম, যে নতুন নিয়মে সুবিধাই হবে গ্রাহকদের। নয়া নিয়ম অনুযায়ী, গ্রাহকদের কাছে চ্যানেল পছন্দ করে নেওয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা থাকছে। এখন থেকে আর ডিটিএইচ কোম্পানি বা কেবল অপরেটরদের বেছে দেওয়া চ্যানেল নিতে গ্রাহকরা বাধ্য নন।
আরও পড়ুন:ভারতের বাজারে আসতে চলেছে কম দামে রয়্যাল এনফিল্ড
এক সাক্ষাৎকারে ট্রাইয়ের চেয়ারম্যান আর এস শর্মা নতুন ট্যারিফ সম্পর্কে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন। ট্রাইয়ের নতুন নিয়মে সুবিধা হচ্ছে স্টকহোল্ডারদের? এই সম্পর্কে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, সকলের কথা মাথায় রেখেই নতুন নিয়ম করা হয়েছে। সকলেই এতে উপকৃত হবেন। গ্রাহকরা তাঁদের পছন্দের চ্যানেল দেখতে পারেন। পাশাপাশি উৎসাহিত হবে সম্প্রচারকরা। কী দেখাবে আর কী দেখাবে না, কীভাবে অনুষ্ঠানের তালিকা তৈরি হবে, সেদিকে জোর দেবে তারা।
আরও পড়ুন: অবশেষে রিলায়েন্স জিওকে হারিয়ে দিল ভোডাফোন এয়ারটেল
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকদের জন্য দাম বেড়ে গেছে, সে বিষয়ে শর্মা বলেছেন যে আগে প্রায় সমস্ত গ্রাহককে তাঁদের সাবস্ক্রিপশনের মধ্যে অপ্রয়োজনীয় কিছু সংখ্যক চ্যানেল ছিল এবং গ্রাহকরা সেগুলির জন্য টাকা দিতেন। নতুন নিয়মে তা হবে না। যে চ্যানেল দেখবেন, শুধু তার জন্যই টাকা দেবেন গ্রাহকরা। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, যে বিএআরসি রিপোর্ট অনুসারে, ৯০ শতাংশ গ্রাহক ৫০ টি চ্যানেল বাতিল করেছেন। সুতরাং চ্যানেলের এই পরিকাঠামো যথাযথ চিন্তাভাবনা করেই করা হয়েছে। এই পরিকাঠামো চললে পরবর্তীকালে বিদেশি পুঁজির বিনিয়োগও হতে পারে ভারতের কেবল ও ডিটিএইচ পরিষেবায়।