/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/30/jio-ipo-2025-08-30-13-00-52.jpg)
বর্তমানে জিওর গ্রাহক সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি
Reliance Jio IPO: রিলায়েন্স জিওর বহু প্রতীক্ষিত আইপিও নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ভারতীয় শেয়ার বাজারের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আইপিও হতে চলেছে।
রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের (RIL) চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ৪৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় ঘোষণা করেছেন যে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধে রিলায়েন্স জিওর আইপিও বাজারে আসতে পারে। শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে জিওর আইপিওর প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন- প্রতিদিন ৩ জিবি ডেটা, আনলিমিটেড কলিং! পুজোর আগে বাম্পার অফারে তোলপাড় ফেলল এই সংস্থা
আইপিওর আকার নিয়ে জল্পনা
আইপিওর আকার কত হতে পারে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে। বিজনেস টুডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এসবিআই সিকিউরিটিজের গবেষণা প্রধান সানি আগরওয়াল অনুমান করছেন জিওর মূল্যায়ন প্রায় ১১৩-১২০ বিলিয়ন ডলার হতে পারে। যদি এর মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি হয়, তবে আইপিওর আকার দাঁড়াতে পারে ৫০,০০০-৫২,৫০০ কোটি টাকা, যা ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অঙ্কের আইপিও।
বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক সুযোগ
বর্তমানে জিওর গ্রাহক সংখ্যা ৫০ কোটিরও বেশি। ২০২০ সালে গুগল ও ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছিল। এখন কোম্পানির মূল্যায়ন প্রায় ৫৮ বিলিয়ন ডলার হলেও, আগামী ছয় বছরে তা দ্বিগুণ হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বিনিয়োগকারীরাও এর থেকে বড় সুবিধা পাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রযুক্তি জগতে বড় ঘোষণা
এজিএম-এ শুধু আইপিও নয়, প্রযুক্তি খাতেও বড় ঘোষণা এসেছে। আকাশ আম্বানি জানিয়েছেন—
ভয়েস প্রিন্ট প্রযুক্তি: যেকোনও সিনেমা বা ম্যাচ নিজের ভাষায় দেখা যাবে, যেখানে চরিত্ররা হুবহু একই ঠোঁটের অঙ্গভঙ্গিতে কথা বলবে।
JioPC: যেকোনও টিভি বা স্ক্রিনকে শক্তিশালী AI কম্পিউটারে পরিণত করবে।
জিওফ্রেম স্মার্টগ্লাস: আকাশ আম্বানি জিওফ্রেমসও চালু করেছেন। এটি একটি এআই স্মার্টগ্লাস যা বিশেষভাবে ভারতের জন্য তৈরি। এই স্মার্ট গ্লাস একাধিক ভারতীয় ভাষা বুঝতে সক্ষম। এটি হতে চলেছে আপনার হ্যান্ডস-ফ্রি সঙ্গী। যা আপনার কাজ, জীবনযাপনে পরিবর্তন আনবে ।
মুকেশ আম্বানি জিওর ১০তম বার্ষিকীতে পাঁচটি বড় পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন—
বিনামূল্যে কলিং- দেশের যেকোনো স্থানে বিনামূল্যে কলিং পরিষেবা শুরু হয়েছে।
ভিডিও অভ্যাস গড়ে তোলা- মোবাইলে ভিডিও দেখা সাধারণ হয়ে উঠেছে।
আধার ও ইউপিআই-এর মাধ্যমে ডিজিটাল পেমেন্টে ভিত্তি- আধার এবং ইউপিআই-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলিকে একটি শক্তিশালী ভিত্তি প্রদান করেছে
শক্তিশালী ডিজিটাল ইকোসিস্টেম- দেশে একটি শক্তিশালী ডিজিটাল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
স্টার্টআপ সংস্কৃতিকে উৎসাহ প্রদান-ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম স্টার্টআপ হাব হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
মুকেশ আম্বানি জানান, রিলায়েন্স দেশের সর্ববৃহৎ করদাতা হিসেবে গত বছর ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে। পাশাপাশি, ২,১৫৬ কোটি টাকা সমাজসেবা খাতে ব্যয় করেছে। বর্তমানে কোম্পানিতে ৬.৮ লক্ষ কর্মী রয়েছে, যা শীঘ্রই ১০ লক্ষে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।