AC electricity saving tips Bengali: এই সাংঘাতিক ভুল বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দিতে পারে! বছরে বাঁচান হাজার হাজার টাকা, সহজ উপায়টা কী?

AC electricity saving tips Bengali: প্রচন্ড গরমে বিরাট স্বস্তিতে একমাত্র ভরসা এসি মেশিন। তবে নতুন এয়ার কন্ডিশনার কেনার সময় তাড়াহুড়ো করা একেবারেই ঠিক নয়। আপনি কি জানেন কোন এসি বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ে সবচেয়ে কার্যকর?  যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নিন এসি কেনার আগে ও পরে কোন কোন বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় পরে বিদ্যুৎ বিল দেখে আপনি রীতিমত ভিরমি খাবেন।

নতুন এসি কেনার সময় একটি ভুল আপনার বাড়ির বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই নতুন এসি বেছে নেওয়ার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি মাথায় রাখুন। বাজারে অনেক এসি আছে কিন্তু কোনটি আপনার জন্য আইডিয়াল তা কখনও কখনও এটি বেছে নেওয়া একটু কঠিন হয়ে পড়ে। তবে আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে জানাবো কোন এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো, যাতে আপনি নতুন এসি কেনার সময় নিজের জন্য সঠিক এসিটি বেছে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন- সোনায় সোহাগা! পুরনোর দামে পান ব্র্যান্ড নিউ ল্যাপটপ, HP, Dell, Lenovo থেকে Asus-এ রয়েছে ৪৫% ছাড়

ইনভার্টার এসি এবং নন-ইনভার্টার এসি, উভয় বিকল্পই আপনার কাছে উপলব্ধ। সঠিক তথ্যের অভাবে মানুষ প্রায়ই ভুল এসি কেনার সময় বেছে নেন। ভুল এসি বেছে নেওয়ার কারণে, প্রতি মাসে আসা বিদ্যুৎ বিল কপালে ভাঁজ ফেলে। উভয় মডেলের মধ্যে পার্থক্য কী এবং কোনটি বেছে নেওয়া উচিত? আসুন জেনে নেওয়া যাক।

নন-ইনভার্টারের তুলনায়, ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ভালো, কারণ ইনভার্টার এসি তাপমাত্রা অনুযায়ী স্মার্টলি কাজ করে। সহজ কথায়, ঘর ঠান্ডা করার পরেও ইনভার্টার প্রযুক্তির এসির কম্প্রেসার ধীর গতিতে চলতে থাকে।

অন্যদিকে, নন-ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার ঠান্ডা হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় এবং ঘর ঠান্ডা করার প্রয়োজন হলে আবার চালু হয়। এই বন্ধ এবং চালু হওয়ার কারণে, নন-ইনভার্টার এসি বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে, যা প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল বাড়ায়। আপনি যদি বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে চান, তাহলে ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি কিনুন। 

রেটিংটি পরীক্ষা করে দেখুন (প্রতিদিন কত ঘন্টা এসি চালানো উচিত)  নতুন এসি কেনার আগে এই প্রশ্নের উত্তর জানা উচিত। আপনি যদি প্রতিদিন ১৬-১৭ ঘন্টার বেশি এসি চালাতে চান, তাহলে ৫ স্টার রেটিংযুক্ত এসি সবচেয়ে ভালো । এমন পরিস্থিতিতে, আপনি যদি ৩ তারকা রেটিংযুক্ত এসি কেনেন, তাহলে আপনার বিদ্যুৎ বিল বাড়তে পারে অনেকটাই।

এছাড়াও টনেজের (এসি ক্যাপাসিটি) কথা মাথায় রাখুন, ঘরের আকার অনুসারে সঠিক টনের এসি মডেল নির্বাচন করুন। যদি ঘরটি বড় হয় এবং আপনি কম টনেজের এসি বেছে নেন, তাহলে আপনার ঘর সহজে ঠান্ডা হবে না।  যার কারণে আপনাকে ঘন্টার পর ঘন্টা এসি চালিয়ে রাখতে হবে, ফলে বিদ্যুৎ খরচ বাড়বে। ঘরের আকার অনুসারে সঠিক টনেজের এসি নির্বাচন করুন। এবং বাড়তি বিলের ঝঞ্ঝাট থেকে মুক্তি পান।

আরও পড়ুন- গ্যাস লিকেজ! চিন্তা ছাড়ুন, জানুন কোন রেফ্রিজারেন্ট আপনার এসির জন্য সেরা

১২-১৪ ঘন্টা এসি চালিয়েও যদি ন্যুনতম ইলেকট্রিক বিল চান তাহলে এই কাজগুলি মেনে চলুন 

১. আপনার এয়ার কন্ডিশনারটি ডিফল্ট তাপমাত্রায় সেট করুন, যা আপনাকে ২৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সাহায্য করতে পারে।

২. এসি ব্যবহারের সময়, ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের পরিবর্তে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এটি চালু করুন।

৩. এসি ব্যবহারের সময় আপনার ঘরটি সঠিকভাবে বন্ধ করুন। এই সময় বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা এড়িয়ে চলুন।

৪. রাতে কয়েক ঘন্টার জন্য এসি বন্ধ রাখুন কারণ রাতে তাপমাত্রা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক থাকে।

৫. এসি চালু করার সময় সিলিং ফ্যান ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঘর দ্রুত ঠান্ডা হবে। এর ফলে, আপনাকে বেশিক্ষণ এসি চালু রাখতে হবে না।

৬. সময়মতো এয়ার কন্ডিশনার সার্ভিসিং এবং পরিষ্কার করুন। ময়লার কারণে, এসির ঠান্ডা বাতাস ঘরে পৌঁছাতে বেশি সময় নেয়, যার কারণে বেশি বিদ্যুৎ খরচ করে।

আরও পড়ুন- বোয়িং ৭৮৭ বিমান কতটা নিরাপদ? কোন প্রযুক্তিতে কাজ করে? আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় উঠছে একাধিক প্রশ্ন

হাইলাইটস

• এসি ডিফল্ট তাপমাত্রায় সেট করুন, ২৪% বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে।
• ঘরটি বন্ধ রাখুন এবং সিলিং ফ্যানও ব্যবহার করুন।
• ১৮° সেলসিয়াসের পরিবর্তে ২৪° সেলসিয়াসে এসি চালান, বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।