Tripura News: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান চলাকালীন বিজেপি কর্মীদের ওপর আচমকা হামলার অভিযোগ উঠল জোট শরিক তিপ্রা মোথা দলের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে খোয়াই জেলার আশারামবাড়ির পূর্ব তকসাই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কমপক্ষে সাতজন বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে রাজ্য পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। রাজ্যের শীর্ষ বিজেপি নেতা বিপিন দেববর্মা দাবি করেছেন, এই হামলা ছিল বিজেপি কর্মীদের প্রাণে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র। তাঁর বক্তব্য, “আজ প্রধানমন্ত্রীর ১২৪তম মন কি বাত অনুষ্ঠান চলছিল। তখনই দা, কুড়ুল, দেশি বন্দুক নিয়ে তিপ্রা মোথার গুন্ডাবাহিনী আচমকা হামলা চালায়। ১০-১৫টি বাইক ও দুটি গাড়ি ভাঙচুর করে।”
তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত দুই বিজেপি কর্মীকে আগরতলার গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এই ঘটনার রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা এবং রাজ্য বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাজ্য বিজেপির মিডিয়া ইনচার্জ সুনীত সরকার বলেন, “মাত্র কদিন আগেই নয়াদিল্লিতে জে পি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠক করে এসেছে তিপ্রা মোথা। তারপরই কেন এই সংঘাত? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের শাস্তির দাবিও জানানো হয়েছে।”
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফেসবুক লাইভে এসে তিপ্রা মোথা প্রধান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মা বলেন, “সংঘাতে কিছু হয় না। আমি আমাদের কর্মীদের বলছি – আলোচনা করুন, ঐক্যের বার্তা দিন। ভাইয়ে ভাইয়ে সংঘর্ষ হলে বাইরের লোক আমাদের নিয়ে উপহাস করবে।”তিনি আরও বলেন, “আমি চাই না আমাদের দলের নাম এ ধরনের হিংসাত্মক ঘটনার সঙ্গে জড়াক। বরং অবৈধ অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে আমরা একসাথে লড়াই করতে প্রস্তুত।”
তিপ্রা মোথা দলের একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র দাবি করেছে, এই হামলার পেছনে রয়েচে সিপিএম থেকে সম্প্রতি বহিষ্কৃত এক নেতা যাকে ইদানিং বিজেপির একটি পদে বসানো হয়েছে তার সাথে বামপন্থী দলের কর্মীদের সংঘাতের ফল। সূত্রটি দাবি করেছে এই ঘটনায় তিপ্রা মোথা দলের সরাসরি কোন যোগ ছিল না।প্রসঙ্গত, আশারামবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিপ্রা মোথা দলের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনিও গোটা ঘটনাটি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।