দুর্গা পুজোর ফ্যাশানেও এবার ঢুকে পড়েছেন রানু মণ্ডল। সৌজন্যে, 'পাওয়ার অফ সোশাল মিডিয়া'। যার ফলে গিজা, তাঁত, হ্যান্ডলুমের মাঝে এবার পাওয়া যাবে 'রানু শাড়ি'।
সামান্য একটা ফেসবুক পোস্ট, তারপরই জীবনের দরজা খুলে যায় রানু মণ্ডলের। রূপকথার গল্পের মতো রানাঘাট স্টেশন থেকে এগিয়ে চলেছে তাঁর জীবন। পরনে নোংরা শাড়ি, চুলে জট, অযত্নের ছাপ সারা শরীরে, পেটে খিদে আর ভগবানদত্ত গলা নিয়ে ভবঘুরে রানু মণ্ডল গান গেয়ে বেড়াতেন স্টেশন চত্বরে। সেখান থেকে তিনি এখন মুম্বইয়ে হিমেশ রেশমিয়ার রেকর্ডরুমে। এক কথায়, মাস দুয়েকের মধ্যে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেলেন রানু মণ্ডল। আর এই আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগাতে চান শাড়ি ব্যবসায়ীরা। শাড়ির বাজার ধরতে তাই এবারের ট্রেন্ড, রানু শাড়ি।
আরও পড়ুন: লতা মঙ্গেশকরের গায়কী আমায় উৎসাহিত করে, জানালেন রানু
কলকাতার বড়বাজারের পাইকারি দোকান থেকে বিক্রি হচ্ছে লাট লাট শাড়ি। বড়বাজার থেকে সেই শাড়ি পৌঁছে গিয়েছে কৃষ্ণনগর, বহরমপুর, আসানসোল, দুই দিনাজপুর সহ আরও একাধিক জেলায়। কলকাতার তাবড় তাবড় শাড়ির দোকানেও পাওয়া যাচ্ছে রানু শাড়ি। তেহট্টের ক্ষীরোদ বস্ত্রালয়ের অনুপ ঘোষ জানাচ্ছেন, "রানু শাড়ি' কিনতে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে!"
তেরি মেরি কাহানি-র গান লঞ্চে হিমেশ-রানু। ফোটো- ভারিন্দার চাওলা
আরও পড়ুন: রানু মন্ডল লতা মঙ্গেকশরকে নকল করেননি: হিমেশ রেশমিয়া
অনুপবাবুকে জিজ্ঞাসা করা হয়, কী এই রানু শাড়ি? তিনি বলেন, "মুম্বইতে প্লেব্যাক করার সময় রানু মন্ডলকে যে 'তুষার সিল্ক' শাড়ি পরানো হয়, সেইরকমই রানু নামের শাড়ি নিয়ে আসা হয়েছে বাজারে। এক ধরনের সিল্ক বলা যায়। দাম ৬০০ টাকা থেকে ৪,২০০ টাকার মধ্যে রাখা হয়েছে। দাম অনুযায়ী শাড়ির জমিন।"
বড়বাজারের এক দোকানের শাড়ি বিক্রেতা জানিয়েছেন, "মূলত নদিয়ায় রানাঘাট ও তার সংলগ্ন এলাকায় মানুষের মন কেড়েছে রানু শাড়ি। সেখানকার দোকানদাররা এসেই লটে অনেক শাড়ি তুলেছেন।"
বিখ্যাত হওয়ার পরে রানু মণ্ডল
অনুপ বাবু বলেন, "পুজোর আগে তেহট্ট বাজারের বিভিন্ন দোকানে ডিসপ্লে করা হয়েছে রানু শাড়ি। সে চত্বরেই দেদার বিক্রি হচ্ছে, পুজো যত এগিয়ে আসছে, চাহিদা বেড়ে চলেছে। তিনি আরও বলেন, "এই ট্রেন্ড অবশ্য বেশিদিন চলে না। এর আগে বাহা শাড়ি উঠেছিল বাজারে। কিন্তু তার মেয়াদ কম ছিল। এখন দেখা যাক, এই শাড়ির চাহিদা কতদিন থাকে"।