করোনা আবহে সারা রাজ্যে ম্রিয়মাণ ভাবে পালিত হচ্ছে ১৫৯ তম রবীন্দ্রজয়ন্তী। জাঁকজমক, প্রভাত ফেরি, সাড়ম্বরে সঙ্গীত বা নৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজন, কিছুই নেই লকডাউনের কল্যাণে। তবু কবির ভাষাতেই বলতে হয়, ‘নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়/ খুলে যাবে এই দ্বার’…
সম্ভবত সেই আশা নিয়েই রাজ্য সরকারের নির্দেশক্রমে রবীন্দ্রজয়ন্তীর সকালে কলকাতার রাজপথে নামল কলকাতা পুলিশের একাধিক বাহিনী, তবে এবার আর লকডাউন বলবৎ করতে নয়, সম্পূর্ণ অন্য রূপে, অন্য ভঙ্গিমায়। শহরের নানাস্থানে সার বেঁধে জোড়হাতে দাঁড়িয়ে, গলায় উত্তরীয় পরে, বিশ্বকবির প্রতি পুলিশি কায়দায় শ্রদ্ধা জানালেন কলকাতা পুলিশের শয়ে শয়ে কর্মী। এবং হ্যাঁ, অবশ্যই সামাজিক দূরত্ব-বিধি বজায় রেখে।
আরও পড়ুন: সত্যজিতের জন্মদিনে ‘হীরক রাজার’ সাহায্য নিল কলকাতা পুলিশ, ভাইরাল ভিডিও
কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজে দেওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায় এই অভিনব উদ্যোগের ভিডিও। দেখে নিন আপনিও:
উল্লেখ্য, শুধু কলকাতা পুলিশ নয়, রাজ্য সরকারের রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপনে অংশগ্রহণ করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও। এবং খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার ক্যাথিড্রাল রোডে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে খালি গলায় গেয়েছেন, ‘দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার গানের ওপারে’। তাঁর সঙ্গে গলা মেলান রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পী ইন্দ্রনীল সেন। এতেই শেষ নয়, অভিনব ভাবে একাধিক শিল্পী তাঁদের বাড়ি থেকেই ‘কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠানে শামিল হলেন। অন্যান্য বছর রবীন্দ্রজয়ন্তীতে রাজ্য সরকারের তরফে এই ক্যাথিড্রাল রোডেই আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনেই এদিন অভিনব উপায়ে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করে রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক মহল। কোথাও জেলাশাসকের অফিসে, কোথাও সরকারি অফিসে অল্প সংখ্যক কর্মী নিয়ে পালিত হয়েছে কবিগুরুর জন্মদিন। এদিন বিভিন্ন জেলার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক এবং অতিরিক্ত জেলাশাসকেরা। কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে বিধি মোতাবেক সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সারা হয় সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন