New Update
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/04/28/sZNEEcQ0is1y8OCntvSq.jpg)
Passport fraud: ভাতার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।
Purba Bardhaman News: সূত্র মারফত পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই চলে অভিযান। ধৃতকে জেরা করে এই চক্রে যুক্ত বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
Passport fraud: ভাতার থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিযুক্তকে।
পাসপোর্টের জন্য জাল সংশাপত্র তৈরি করে দেওয়া চক্রের এক পাণ্ডাকে এবার জালে পুরল পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ হাসনত জামান ওরফে কচি শেখ। জেলার ভাতার থানার অন্তর্গত পাটনা গ্রামে তাঁর বাড়ি। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। রবিবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে। ধৃতের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাতারের বলগোনা বাজারে একটি অনলাইন সেন্টার রয়েছে ধৃত শেখ হাসনত জামানের। সেই অনলাইন সেন্টারে হাসনত জাল শংসাপত্র তৈরির কাজ করে আসছিল বলে অভিযোগ। ভাতাড়ের এড়াচিয়া গ্রামের এক মহিলা গ্রেফতার হওয়ার পর বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে। তারপর তদন্ত চালিয়ে পুলিল জানতে পারে হজযাত্রার প্রয়োজনে গত মার্চ মাসে এড়াচিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা ও তার স্বামী পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন।
কিন্তু ডিআইবি (ডিস্ট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ) দম্পতির নথিপত্র খতিয়ে দেখার সময় জানতে পারে যে মহিলার দাখিল করা জন্ম শংসাপত্রটি জাল। যে কারণে শনিবার সকালে মহিলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মহিলাকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে যে ওই জাল শংসাপত্রটি শেখ হাসনত জামান তৈরি করে দিয়েছিল। যদিও মহিলার দাবি, গোটা বিষয়টি তাঁর অজান্তেই হয়েছে। শনিবার মহিলাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live: প্রাথমিকের ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলার শুনানি, নজর আজ হাইকোর্টে
এদিকে জাল শংসাপত্র তৈরি কাণ্ডে শেখ হাসনত জামানের নাম উঠে আসতেই ভাতার থানার পুলিশ নড়েচড়ে বসে। শনিবার রাতেই পাটনা গ্রামে পৌঁছে পুলিশ শেখ হাসনাতের বাড়িতে হানা দেয়। জেরায় শেখ হাসনাত জাল শংসাপত্র তৈরির কথা স্বীকার করতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: কাজ দেখে সন্তুষ্ট CRS, কলকাতার এই পথে মেট্রোর দৌড় সময়ের অপেক্ষা!
হাসনাতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে শুধু এড়াচিয়া গ্রামের ওই মহিলাই নয়, টাকার বিনিময়ে তিনি আরও বহু মানুষের জাল শংসাপত্র তৈরি করে দিয়েছেন। এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে এবং চক্রের বাকিদের নাগাল পওয়ার জন্য পুলিশ এখন ধৃত শেখ হাসনত জামানকে দফায় দফায় জেরা করছে।