2 thousand acres of Paddy spoiled due to the outbreak of rotting disease due to excessive rain: জলনিকাশির ব্যবস্থা বেহাল। অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে বারুইপুরের চম্পাহাটি এলাকায় দু'হাজার একরেরও বেশি জমির ধান নষ্ট। চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে কৃষকেরা। ক্ষতিগ্রস্ত দেড় হাজারেরও বেশি কৃষক পরিবার। ধানের এই বিপুল ক্ষতি সামাল দিতে সরকারিস্তর থেকে ক্ষতিপূরণের দাবি কৃষকদের। বিষয়টি জেনেছেন কৃষি বিভাগের কর্তারা। তাঁরা কৃষকদের আবেদন খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপের আশ্বাসও দিয়েছেন। বারুইপুরের চম্পাহাটি, হাড়দহ, বৃন্দাখালি নবগ্রাম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় এবছর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধান চাষ। এবার একটানা বৃষ্টির জেরে ধানগাছের গোড়ায় জল জমে থাকায় শিস হলেও ফলন হয়নি।
কৃষকদের দাবি, বিঘের পর বিঘে কৃষি জমির জন্য একটি মাত্র জলপথ। নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই জমিতে জমে থাকা জল বের করা যায়নি। কৃষকদের দাবি, এর জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তাঁরা। ঋণ নিয়ে অনেকে চাষ-আবাদ করেন। ফসল উঠলে তা বিক্রি করে তাঁরা ঋণ শোধ করেন। এবার ফসল না হওয়ায় তারা ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঝঋেমর টাকা মেটাতে তাই সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে বারুইপুর ব্লকের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ সুধাংশু নস্কর জানান, অনেকেই শস্যবীমা করেননি। অতিবৃষ্টির ফলে চাষ ক্ষতিগ্রস্ত বলে মেনে নিয়েছেন তিনি।সরকারিভাবে কোনও সাহায্য করা যায় কিনা তা দেখা হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে কৃষকদের বক্তব্য, বর্তমানে স্যাটেলাইট ছবির মাধ্যমে বিচার করা হয় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। তবে এই পদ্ধতিতে সঠিকভাবে বিচার করা যায় না বলে অনেকে মনে করেন।
এবছর আবহাওযার খামখেয়ালিপনার জেরে বহু জায়গাতেই অতিবৃষ্টি হয়েছে। অতিবৃষ্টির জেরে একটানা বেশ কিছুদিন ধরে অনেক এলাকাতেই জল জমেছিল। বহু এলাকায় পাম্প বসিয়ে জল বের করতে হয়েছে। কৃষিজমিতে জল জমে গিয়ে শুধু এখানেই নয়, সমস্যা পড়তে হচ্ছে আরও অনেক এলাকার কৃষককে। তবে একসঙ্গে ২ হাজার একর জমির ধান নষ্টের বিষয়টি দারুণ উদ্বেগের। তাই সরকারিস্তরে যাতে ক্ষতিপূরণ মেলে সেই আবেদন করছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।