Malda News: ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুতের টাওয়ার থেকে পড়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু মালদার তিন শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সিদি জেলার আমদাবাদ এলাকায়। রাতেই মালদার ইংরেজবাজার থানার অমৃতি এবং নতুন নৌঘরিয়া এলাকায় এই খবর পৌঁছাতেই গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। শুক্রবার সকাল হতেই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের কর্তারা। তাদেরকে সহযোগিতার করারও আশ্বাস দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , মৃত তিন শ্রমিকের নাম সিন্টু মোমিন (৩৫), আজমির মোমিন (৩২) এবং মোবারক নাদাপ (৩২)। প্রথম দুই মৃত শ্রমিকের বাড়ি অমৃতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বানিয়া এলাকায়। অপর মৃত শ্রমিকের বাড়ি ফুলবাড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন নৌঘড়িয়া এলাকায়। সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি ঠিকাদার শ্রমিক সরবরাহকারী সংস্থার মাধ্যমে মধ্যপ্রদেশে টাওয়ারের কাজ করতে গিয়েছিলেন ওই শ্রমিকেরা। এদিন কাজ করার সময় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ফুট উঁচু থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় মালদার তিন শ্রমিকের।
মৃত মিন্টু এবং আজমির মোমিনের স্ত্রী মিনি বিবি, ফুলসারি বিবিদের বক্তব্য, বাড়িতে নাবালক ছেলেমেয়ে রয়েছে। বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িও আছে। পরিবারের অভাব ঘোচাতে স্বামীরা মধ্যপ্রদেশে গিয়েছিলেন দিনমজুরি করতে। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে অকালে তাদের প্রাণ চলে গেল। এই অবস্থায় এখন কি করব বুঝে উঠতেই পারছি না। কীভাবে বা সংসার চলবে সেটাও ভেবে পাচ্ছি না।
এদিকে, মৃত মোবারক নাদাপের এক দাদা মহম্মদ আব্দুল তারেকের কথায়, "ভাইপোর পরিবারে দুই নাবালক ছেলেমেয়ে, স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা-মা রয়েছেন। ওরা খুব গরিব। আবাসের ঘরের জন্য আবেদন করে ঘর পাইনি। হাতে কোনও রোজগার নেই। তার জন্যই ভিন রাজ্যে গিয়েছিল। কিন্তু জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারাতে হল।"
আরও পড়ুন- West Bengal News Updates : চাকরির নামে হাজারের বেশি প্রার্থীর থেকে টাকা তুলেছে 'পার্থ অ্যান্ড কোং', দাবি সিবিআইয়ের
আরও পড়ুন- local train cancelled: একগুচ্ছ লোকাল ট্রেন বাতিল, বর্ষশেষে তুমুল ভোগান্তির আশঙ্কা নিত্যযাত্রীদের
মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূলের নির্বাচিত সদস্য তথা সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দা, জুয়েল রহমান সিদ্দিকী বলেন, "ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে যতটা পেরেছি ওই পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করেছি। ইতিমধ্যে গ্রাম থেকে কয়েকজনকে তিন শ্রমিকদের দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য টাকা-পয়সা সাহায্য করে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে।"
ইংরেজবাজারের বিডিও অনিরুদ্ধ ঘোষ জানিয়েছেন, ঘটনাটি দুঃখজন। তবে প্রশাসন সবরকম ভাবে ওই পরিবারগুলির পাশে রয়েছে।