34 held after communal clash in Malda, internet suspended, prohibitory orders issued: বৃহস্পতিবার মালদার মোথাবাড়ি এলাকা এবং আশেপাশের এলাকায় দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এবং এখনও পর্যন্ত ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শুক্রবার, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি স্মিতা দাস দের একটি ডিভিশন বেঞ্চ একটি জনস্বার্থ মামলার জবাবে মালদার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সুপারের কাছ থেকে ঘটনার 'অ্যাকশন টেকেন' রিপোর্ট চেয়েছে। মালদার জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, "পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আমরা এলাকায় সর্বোচ্চ নজরদারি বজায় রাখছি। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।"
পুলিশ জানিয়েছে, গত বুধবার রামনবমীর প্রস্তুতিমূলক সমাবেশ স্থানীয় একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। একদল লোক অভিযোগ করেছিল, যে মসজিদের কাছে আতশবাজি ছোঁড়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে কিছু লোক স্থানীয় রাস্তা অবরোধ করে। পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে, পুলিশের উপর পাথর ছোঁড়া হয় এবং তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
আরও পড়ুন- Eid al Fitr: ঈদের ছুটি বাতিল, ৩১ মার্চ অফিস যেতেই হবে এই সরকারি কর্মীদের
এরপর ক্ষুব্ধ জনতা এলাকায় জনসাধারণের যানবাহন এবং দোকান ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। মালদা জেলা পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছে, “এখন পর্যন্ত, স্বতঃপ্রণোদিতভাবে এবং জনসাধারণের অভিযোগের ভিত্তিতে ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মোট ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে... যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে টহল মোবাইল ইউনিটগুলি সক্রিয় রয়েছে। পুলিশের উপস্থিতি জোরদার করার জন্য বাহিনীও মোতায়েন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক টহল চলছে এবং কোনও ঝামেলা বা গোলমালের সম্ভাবনা সম্পর্কে যে কোনও তথ্য পেলে সাড়া দেওয়া হচ্ছে।”
জেলা পুলিশ তাদের পোস্টে আরও উল্লেখ করেছে, “আমরা সকল নাগরিককে শান্তি বজায় রাখার জন্য অনুরোধ করছি এবং গুজব বা ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও অনুরোধ করছি। বিভ্রান্তি তৈরি এবং অস্থিরতা উস্কে দেওয়ার ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা চলছে। গুজব-প্রচার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহারের এই ধরনের কাজ আইন অনুসারে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।”
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: কলকাতার নাকের ডগায় বড়সড় প্রতারণার পর্দা-ফাঁস, বাজেয়াপ্ত কাঁড়ি-কাঁড়ি টাকা
মোথাবাড়ির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে ফোনে বলেন, “এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসন শান্তি কমিটির একটি সভা আহ্বান করেছে যেখানে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ উপস্থিত থাকবেন। আমরা সকলের কাছে শান্তির আবেদন জানিয়েছি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজবে কান না দেওয়ার জন্য মানুষকে অনুরোধ করেছি।”
এদিকে, বিজেপি অভিযোগ করেছে যে শুক্রবার তাদের দলের একটি প্রতিনিধিদলকে মোথাবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বৃহস্পতিবার থেকে মালদার মোথাবাড়িতে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ। হিন্দু মন্দির এবং বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সাথে কথা বলেছি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কার্যালয়ে যোগাযোগ করেছি। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন বাংলায় এই ধরনের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।”