India new Covid cases: করোনার কামব্যাক রাজধানীতে! শুক্রবার দিল্লির প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদে কমপক্ষে চারজন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও এক্ষেত্রে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
গাজিয়াবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক (CMO) অখিলেশ মোহনের কার্যালয় থেকে জারি করা এক সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আক্রান্তদের মধ্যে তিনজন তাদের বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন। একজন বর্তমানে গাজিয়াবাদের কৌশাম্বির যশোদা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।”
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, “হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একজন ১৮ বছর বয়সী মহিলা, যিনি গাজিয়াবাদের ব্রিজবিহারের বাসিন্দা। তিনি কাশি, সর্দি এবং জ্বরের লক্ষণে ভুগছেন। ১৮ মে কৌশাম্বির যশোদা হাসপাতালে তিনি কোভিড পজিটিভ পরীক্ষা করেছিলেন এবং বর্তমানে সেখানেই ভর্তি আছেন।”
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Update:দিল্লিতে আজ মোদীর নেতৃত্বে নীতি আয়োগের বৈঠক, যোগ দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে কথা বলার সময়, সিএমও অখিলেশ মোহন বলেন, "আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এটি ফ্লুর মতো। এটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক, এবং মানুষের এটি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। এগুলো কোভিডের মাত্র একটি ধরণ। আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। এটি একটি সাধারণ ফ্লুর মতোই। কাশি এবং সর্দি-কাশি হলে মানুষের একমাত্র সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত মাস্ক ব্যবহার করা।”
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: যাত্রী স্বার্থে যুগান্তকারী উদ্যোগ কলকাতা মেট্রোর! বাম্পার সুবিধায় প্রশংসার বন্যা
সিএমও জানিয়েছেন, অন্য দু'জন আক্রান্তের মধ্যে একজনের বয়স ৭১ ও অন্যজনের বয়স ৬৪। এই প্রবীণ দম্পতি গত ১৩ মে বেঙ্গালুরু থেকে গাজিয়াবাদে ফিরে এসেছিলেন। গাজিয়াবাদের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক বলেন, “১৬ মে তাদের জ্বর এবং কাশির লক্ষণ দেখা দিয়েছিল। ডাক্তারের পরামর্শে, তারা কোভিড পরীক্ষা করেছিলেন এবং এটি পজিটিভ ছিল। তাঁরা দুজনেই বর্তমানে বাড়িতে আছেন এবং সুস্থ আছেন। ৩৭ বছর বয়সী বৈশালীর বাসিন্দাও গত চার থেকে পাঁচ দিন ধরে জ্বর এবং সর্দি-কাশিয়ায় ভুগছিলেন। তার পরীক্ষায় পজিটিভ এসেছে কিন্তু এখন তিনি সুস্থ আছেন।”
আরও পড়ুন- Offbeat destination: মন্ত্রমুগ্ধকর প্রাকৃতিক শোভায় মন মজবেই! ঢুঁ মারুন দার্জিলিঙের নাকের ডগার এই ফাটাফাটি গন্তব্যে
উল্লেখ্য, নতুন করে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দক্ষিণের রাজ্য কেরলে ইতিমধ্যে দু'শোরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। দক্ষিণের এই রাজ্যেj হাসপাতাল গুলিতে বেড, অক্সিজেন ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। দিল্লিতেও করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। যদিও নতুন করে করোনার এই সংক্রমণ নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশারদরা।