/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/20/hilsa-fish-2025-06-20-11-28-22.jpg)
hilsa supply: প্রতীকী ছবি।
ফের মৎস্যজীবীদের জালে সমুদ্রের রূপোলি শস্যের জোয়ার। টন টন ইলিশ তুলে উপকূলে ফিরেছে বহু ট্রলার। ভরা বর্ষায় ফের একবার ইলিশের বন্যা। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়েছে মৎস্যজীবীদের জালে। বিপুল পরিমাণে ইলিশ ওঠায় জুলাইয়ের শেষে বাজারে ইলিশের দামও খানিকটা কমবে বলে আশাবাদী মৎস্য বিক্রেতারা। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে জিভে জল ইলিশপ্রেমী বাঙালির।
প্রথমটায় ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পরেই প্রতি বছরের মতো এবছরেও হাজার হাজার ট্রলার মাঝ সমুদ্রে রওনা দিয়েছিল ইলিশ তোলার জন্য। গত জুন মাসের ১৪ তারিখ গভীর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথর প্রতিমা, গোসাবা, ফ্রেজারগঞ্জ থেকে পাড়ি দেয় হাজার-হাজার ট্রলার। প্রথম দিন দশেক ভালোমতো ইলিশ উঠলেও তারপর থেকে দফায় দফায় আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জেরে সমুদ্রে মাছ ধরা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কবার্তায় বাধ্য হয়েই পাড়ে ফিরতে হয় হাজার-হাজার ট্রলারকে।
তবে গতকাল ও তার আগের দিন মিলিয়ে প্রায় ৪০০ টন ইলিশ তুলে ফিরেছে বহু ট্রলার। কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা, ডায়মন্ড হারবারের মাছ বাজার গুলিতে ইলিশের বন্যা। জুলাইয়ের শেষে আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বিপুল পরিমাণ ইলিশ উঠেছে এবং সেই সব ইলিশের ওজনও বেশ ভালো।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: 'গাজা ও প্যালেস্তাইন নিয়ে বলাটা দেশপ্রেম নয়', CPM-কে পাঠ হাইকোর্টের
কাকদ্বীপ ফিসারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানিয়েছেন, ভালো পরিমাণে ইলিশ উঠেছে এবং সেগুলির ওজন ৫০০ থেকে ১ কিলোর মধ্যে। গত কয়েক বছরে সমুদ্র এত বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছের ঝাঁক দেখা যায়নি। যদিও নতুন করে ফের একবার সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে ২৭ জুলাই পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই কারণে এই কয়েকদিন ইলিশের জোগান বাড়বে না।
যদিও আবহাওয়া অনুকূলে এলে অর্থাৎ দুর্যোগ কেটে গেলে আবারও ট্রলার যাবে মাছ সমুদ্রে ইলিশের খোঁজে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি রয়েছে তাতে করে আরও বিপুল পরিমাণ ইলিশ মাছ জালে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীরা। সেটা হলে বাজারে ইলিশের দামও ফের একবার কমতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।