Mahua Moitra On Amit Shah: বিহারে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ইতিমধ্যে দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ইস্যুতে বিরোধী দল ক্রমাগত সরকারকে কোনঠাসা করার চেষ্টা করছে। এর মাঝেই বিরাট হুঙ্কারে রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় ফেললেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তিনি বিহারের ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন।
"৫৬ লক্ষ অবৈধ ভোটার কোথা থেকে এলো?' বিহারে বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে ক্ষুব্ধ মহুয়া মৈত্র। সরাসরি কেন্দ্রকে নিশানা করে অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি। বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন সম্পর্কে সাংসদ মহুয়া মৈত্র বলেন যে, যদি কেন্দ্রীয় সরকার মনে করে যে ৫৬ লক্ষ মানুষ বিহারে অনুপ্রবেশ করেছে, তাহলে সেই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কী করছিল?
বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন (SIR) প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই তথ্য ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)-এর সাংসদ মহুয়া মৈত্র শুক্রবার (২৫ জুলাই, ২০২৫) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন এবং তাঁর পদত্যাগের দাবি তোলেন।
মহুয়া মৈত্র অভিযোগ করেন, “নির্বাচন কমিশন বলছে, বিহারে SIR-এর আওতায় মোট ৫৬ লক্ষ অবৈধ ভোটারের খোঁজ মিলেছে। যদি তাই হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেই সময় কী করছিল? সীমান্ত রক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে, তাই এর সম্পূর্ণ দায় অমিত শাহের, এবং তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, এই ঘটনা শুধুমাত্র প্রশাসনিক ব্যর্থতা নয়, বরং কেন্দ্রের তরফে সীমান্ত সুরক্ষায় চূড়ান্ত ব্যর্থতার প্রতিফলন।
বিজেপির শাখা নির্বাচন কমিশন?
টিএমসি সাংসদের অভিযোগ আরও 'বিস্ফোরক'। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন এখন বিজেপির একটি শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) যেন বিজেপির মুখপাত্রের মতো কথা বলছেন। ভারতের ইতিহাসে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের এমন অপব্যবহার আগে কখনও দেখা যায়নি।” মহুয়া মৈত্র দাবি করেন, ২২ জুলাই কমিশনের রিপোর্টে খুঁজে না পাওয়া ভোটারের সংখ্যা ছিল ১১,৪৮৪ জন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই সংখ্যা বেড়ে ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। তার কথায়, “এটা কীভাবে সম্ভব? মাত্র একদিনে প্রায় ৮৮ হাজার ‘নিখোঁজ’ ভোটার যুক্ত হয়ে গেল?”
কমিশনের ব্যাখ্যা
২৪ জুলাই, নির্বাচন কমিশন একটি বিবৃতিতে জানায়, বিহারে প্রায় ১ লক্ষ ভোটারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়াও প্রায় ৫৫ লক্ষ ভোটার রয়েছেন, যাঁরা হয় মৃত, অথবা স্থায়ীভাবে অন্যত্র স্থানান্তরিত হয়েছেন বা একাধিক স্থানে নাম রয়েছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই তথ্য শুধুমাত্র পরিসংখ্যানগত পর্যালোনার অংশ, এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা নেবেন বিস্তারিত যাচাইয়ের পর।