Durga Puja 2024: দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম বড় পুজোগুলির মধ্যে বিখ্যাত ৬৬ পল্লীর দুর্গাপুজো। থিমের দৌড়ে অনান্য পুজোকে টেক্কা দিতে থিম ভাবনা থেকে প্রতিমা সজ্জা সবেতেই রয়েছে বিরাট চমক। 'মশলার সাতকাহন' ফুটে উঠেছে মন্ডপ জুড়ে। প্রথা ভেঙে মহিলা পুরোহিত দিয়ে পুজো করিয়ে সমাজকে নারী শক্তির এক দুরন্ত বার্তা দিয়েছিল ৬৬ পল্লীর পুজো। এবার দুর্গোৎসবে পুজোর ভাবনা 'স্বাদকাহন'। যার মধ্য দিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারীশক্তিকেই। এবছর ৭৪তম বর্ষে পা দিল দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় এই পুজো।
হাতা-খুন্তি হাতে অসুর নিধনে দেবী দুর্গা! শিল্পীর অভূতপূর্ব ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা
রান্নার সুস্বাদু মশলা দিয়ে সেজে উঠছে মণ্ডপ থেকে প্রতিমা। কী নেই তাতে! তেজপাতা থেকে শুরু করে অ্যালাচ, লবঙ্গ, দারচিনি! ভোজনরসিক বাঙালির কাছে 'মশলার সাতকাহন' তুলে ধরছেন এই পুজো উদ্যোক্তারা। শিল্পী দীপাঞ্জন দে-র ভাবনায় ফুটে উঠেছে গোটা থিম। প্রতিমাশিল্পী রয়েছেন ধীমান সুতার। মণ্ডপে ঢোকার মুখেই রয়েছে বিশালাকার হামানদিস্তা। সেকাল-একালের হেঁশেলের চিত্র যেন মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছে ৬৬ পল্লীর থিম ভাবনায়। আগে হেঁশেলে মা-ঠাকুমারা ব্যবহার করতেন শিল-নোড়া। এখন সেই জায়গা দখল করেছে গ্রাইন্ডার মেশিন। মণ্ডপে শিল-নোড়ার পাশেই জায়গা করে নিয়েছে গ্রাইন্ডার মেশিনও রয়েছে।
এই পুজো শুরুর নেপথ্যে ছিলেন সম্রাট শেরশাহ, স্বপ্নাদেশে মা দুর্গার আরাধনা শুরু এবাড়িতে
তবে কেবল মন্ডপ নয় প্রতিমা সজ্জাতেও রয়েছে বিশেষ চমক। প্রতিমার বেশভূষা থেকে শুরু করে অলঙ্কার সবেতেই রয়েছে মশলার ছোঁয়া। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ভোজনরসিক বাঙালির কাছে এবারে আমাদের এই থিম ভাবনা এক অন্যরকম চমক দেবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। হেঁশেলের যাবতীয় দায়িত্ব মহিলাদেরই। আমরা প্রত্যেক বছর নারী শক্তিকে গুরুত্ব দিই। এবারেও তার কোন ব্যতিক্রম নয়। পুজোর থিমের মাধ্যমে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নারীশক্তিকে। দ্বিতীয়া থেকে দর্শকদের জন্য এই মণ্ডপ খুলে দেওয়া হবে। তবে এবার আর মহিলা পুরোহিত দিয়ে পুজো হবে না ৬৬ পল্লীর দুর্গাপুজোয়। সামনে থেকে দেখলে অপরূপ শিল্পভাবনার এক নিদারুণ নির্দশন উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।
প্রথমবার লন্ডনের হেরিটেজ ভবনে শারদোৎসবের আয়োজন, সাজবে চন্দননগরের আলোয়
আগের দিনে বাড়িতে মা-ঠাকুরমারা শিল-নোড়াতে মশলা বাটতেন। সেখানে এখন জায়গা করে নিয়েছে গ্রাইন্ডার মেশিন। মণ্ডপে মা-ঠাকুরমার শিল-নোড়ার পাশে গ্রাইন্ডার মেশিনও রয়েছে। প্রতিমার পিছনে যে চালা রয়েছে সেটিও তেজপাতায় তৈরি। জিরে, ধনে, পোস্ত, কালোজিরে, সরষে দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে রান্নাঘরের ছবি। হেঁশেলে রান্নার সময় যে মশলার একটা সুন্দর গন্ধ মেলে এই মণ্ডপে ঠিক সেরকম হেঁশেলের গন্ধ পাবেন দর্শনার্থীরা।
প্রতিবাদ'ই উৎসব, উৎসবেই জারি প্রতিবাদ! আরজি কর কাণ্ডে 'লজ্জার' অনন্য থিমে সমাজকে বিরাট বার্তা