Durga Puja 2024: হাতা-খুন্তি হাতে অসুর নিধনে দেবী দুর্গা! শিল্পীর অভূতপূর্ব ভাবনার ভূয়সী প্রশংসা সর্বত্রই। গ্যাস ওভেনের ওপর সিংহ ও অসুর। শিল নোড়া এখানে ইঁদুর। কেটলি রূপান্তরিত হয়েছে হাঁসে। মা এখানে হাতে অস্ত্র হিসাবে তুলে নিয়েছেন হাতা, খুন্তি, শাঁড়াশি, বটি। অভিনব ভাবনা শিল্পীর।
বরাবর নিত্য নতুন শিল্পকলায় প্রতিমা নির্মাণ করে তাক লাগিয়ে দেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। ভাস্কর্য শিল্পী তপন পাল। এবার তিনি মূর্তি নির্মাণে ব্যবহার করেছেন রান্না ঘর ও ঠাকুরঘরের ব্য়বহৃত বাসনপত্র। যে মা রান্না ঘরে খাবার তৈরি করেন, তার ভিতরেও দুর্গার অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন শিল্পী তপন পাল। সমাজের অসুর নিধনে সেই মা যেন তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রী হাতা, খুন্তি, শাঁড়াশি, বটি ইত্যাদি অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করেছেন।
এই মূর্তি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে, রান্না ঘর ও ঠাকুর ঘরে ব্যবহৃত বিভিন্ন বাসনপত্র। বালতি, হাঁড়ি, কড়াই, গামলা, বাটি, ড্রাম, গ্যাস ওভেন, গ্লাস, হাতা, খুন্তি, থালা, প্লেট, ঘটি, কেটলি, চামচ, কাঁটা চামচ, শাঁরাশি, গ্যাস লাইটার, রুটি বেলনি, চা ছাঁকনি, ঝাঁঝরি হাতা, শীল নোড়া, বটি দাঁ। এছাড়াও ঠাকুর ঘরে ব্যবহৃত থালা, গ্লাস, ঘট, বাটি, কোশা-কুশিও রয়েছে তালিকায়। এমন নানা বাসনপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভাস্কর্য শিল্প ধর্মী অভিনব দুর্গা প্রতিমা।
পুজোর আগে লাগাতার কর্মবিরতি! জুনিয়র ডাক্তারদের কী বার্তা দিলেন সাংসদ অভিনেতা দেব?
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ও এশিয়া বুক অফ রেকর্ডসধারী শিল্পী ভাস্কর তপন পাল বলেন, "এই মূর্তিটি ভাস্কর্য শিল্পের একটি বিশেষ শৈলী "ইনস্টলেশন " ধর্মী শিল্পকলা। জগন্নাথ মূর্তির আদলের অনুপ্রেরণাতে তৈরী এই দুর্গা মূর্তি। এই মূর্তি তৈরি করতে সময় লেগেছে ৪ মাস। মূর্তির উচ্চতা ৬ ফুট ও আড়াআড়ি ১৪ ফুট।" শীল নোড়া দিয়ে আস্ত একটা ইঁদুর তৈরি হয়েছে। হাঁস তৈরি হয়েছে চায়ের কেটলি দিয়ে। সিংহ ও মহিষাসুরের অবস্থান এখানে গ্যাস ওভেনের ওপর। এদের রাগ ও তেজকে রিলেট করতে চেয়েছেন কল্যানী গয়েশপুরের এই শিল্পী।
প্রথমবার লন্ডনের হেরিটেজ ভবনে শারদোৎসবের আয়োজন, সাজবে চন্দননগরের আলোয়
এই মূর্তিটি শোভা পাবে নদিয়ার চকদহ কেবিএম মিলন মন্দির যুব সংঘের পুজো মন্ডপে। এখানকার পুজোর মূল আকর্ষণ এই বাসনপত্র ও রান্না ঘরের যন্ত্রপাতির এই প্রতিমা। এর আগে গৃহ নির্মানে ব্যবহৃত ইঁট, বালি, পাথর দিয়ে দুর্গা প্রতিমা নির্মাণ করেছেন তপন পাল। এই শিল্পী অভিনব ভাবনার ভাস্কর্য তৈরি করে চলেছেন দুই শতকের বেশি সময় ধরে।