/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/27/x1kvzZLm3Sre8mbfW8T6.jpg)
Purba Bardhaman News: শোকে ভেঙে পড়েছেন মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরা।
A young man drowned in the river while taking a holy bath on Shivratri in Katwa: শিবরাত্রি উপলক্ষ্যে ভাগীরথীতে পুণ্য স্নানে নেমে বার্জের ঢেউয়ের অভিঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। তলিয়ে যাওয়া আরও এক যুবকের খোঁজ এখনও মেলেনি। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সুমন সাহা (২১)। তলিয়ে গিয়ে এখনও নিখোঁজ থাকা যুবকের নাম অর্ঘ্য সাহা (২২)। সম্পর্কে তাঁরা দুই বন্ধু। তাঁরা দাঁইহাটের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বেরা এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার দাঁইহাটে ভাগীরথী নদীর ঘাটে। সেখানে নদীর পাড়ে বসে নিজের দাদা ও দাদার বন্ধুর এমন ভয়ঙ্কর পরিণতির সাক্ষী ছিলেন অয়ন সাহা নামে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্র।
দাঁইহাটের বেরা এলাকায় বাড়ি পেশায় ধান-চালের ব্যবসায়ী নিতীশ সাহার। তাঁর দুই ছেলে হলেন সুমন ও অয়ন। নিতীশ সাহার স্ত্রী নমিতাদেবী সাধারণ গৃহবধূ। সুমন কাটোয়া কলেজে বি-এ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। অয়ন সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশোনা করে। অন্যদিকে সুমনের বন্ধু অর্ঘ্য সাহার বাড়ি দাঁইহাটের দেওয়ানগঞ্জ এলাকায়। তিনি ল'ক্লার্কের কাজ করতেন। তাঁর বাবা পেশায় বস্ত্র ব্যবসায়ী।মা শুক্লাদেবী গৃহবধূ। দুই ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছোট। দিদির বিয়ে হয়ে গেছে ।
পরিবার পরিজন ও এলাকাবাসীর কথায় জানা গিয়েছে, “কয়েক বছর ধরেই শিবরাত্রির ব্রত পালন করে আসছিলেন সুমন ও অর্ঘ্য । এ বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি। ব্রত পালনের জন্য বুধবার সকালে দুই বন্ধু ভাগীরথীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন। বাবার বাইকে ভাই অয়নকে চাপিয়ে নিয়ে দাঁইহাটের ফেরিঘাটে পৌঁছেছিলেন সুমন। একই সময়ে নিজের নতুন বাইকে চেপে অর্ঘ্য একই ঘাটে পৌছান। বেলা পৌনে এগারোটা নাগাদ ভাগীরথীর ঘাটে অয়নকে বসতে বলে দুই বন্ধু তাঁদের স্মার্ট ফোন ও পোশাক তার হাতে ধরিয়ে দেয়। তারপর তারা ভাগীরথীতে স্নান করতে নামেন ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অয়নের কথা অনুযায়ী সুমন ও অর্ঘ্য যখন ভাগীরথীতে স্নান করতে তখন খুব কাছ দিয়ে বার্জ যাচ্ছিল। তার প্রবল ঢেউয়ে তলিয়ে যায় অর্ঘ্য। তা দেখে সুমন তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে যায় । তখন সুমনও তলিয়ে যান। এমনটা দেখে কিশোর অয়ন মরিয়াভাবে চিৎকার শুরু করে লোকজন ডাকাডাকি করে। তার চিৎকার শুনে কাছে পিঠে থাকা লোকজনও ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু প্রবল ঢেউ দেখে কেউ প্রথমে নদীর জলে নামার সাহস দেখাননি।
আরও পড়ুন- TMC Meeting: খোলনলচে বদলাচ্ছে তৃণমূল? '২৬ ভোটের আগে আজ মমতার হাইভোল্টেজ সভায় নজর
প্রায় আধঘন্টা পর খোঁজাখুঁজি শুরু হলে কিছুটা দূরে সুমনকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তড়িঘড়ি তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরে ডুবুরির দল এনে অর্ঘ্যর সন্ধানে ভাগীরথীতে তল্লাশি শুরু হয়। কিন্তু গতকাল রাত পর্যন্ত তার কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় দুই পরিবার শোকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। গোটা এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।