/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/04/Untitled.jpg)
স্বপ্ন দেখছে কেজরিওয়ালের আপ, তাসত্ত্বেও...
কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ। আম আদমি পার্টি জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতেই দলের চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিতে নয়া আত্মবিশ্বাস পেয়েছে নেতৃত্ব। অন্য দিকে তৃণমূল কংগ্রেস আঞ্চলিক হতেই রাজ্যসভার সাংসদ পদ ও দলের পদ সমস্ত কিছু পরিত্যাগ করেছেন লুইজিনহো ফেলারিও। অন্য় রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গে সংগঠনকে মজবুত করতে তৎপর কেজরিওয়ালের আপ। জাতীয় দল হওয়ায় এদিন তাঁরা মিষ্টিমুখ করায় কলকাতার পথ চলতি মানুষজনকে। একত্রিত হয় রেড রোডে বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে।
এখনও পর্যন্ত সেভাবে এরাজ্যে নির্বাচনী লড়াইতে অংশ নেয়নি আপ। সদস্য সংগ্রহ অভিযান করছে। জাতীয় দলের তকমা পাওয়ায় স্বভাবতই খুশি বঙ্গ আপ নেতৃত্ব। আপের এরাজ্যের প্রধান মুখপাত্র অর্ণব মিত্র বলেন, 'জাতীয় দল হওয়ায় সুবিধা তো হয়েছে। কোটি কোটি মানুষের সমর্থনে এই মর্যাদা পাওয়া গিয়েছে। এখানে রাজ্য কমিটি, জেলা কমিটি, এমনকী ব্লক স্তরেও সংগঠনের বিস্তার করছে আপ। বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে কাজ চলছে। জাতীয় দলের মর্যাদা পাওয়ায় উৎসাহ যে আরও বেড়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আমাদের কর্মীদের থেকে সাধারণ মানুষ যেন আরও উচ্ছ্বসিত।'
এর আগে বিজেপির বি-টিম বলে তৃণমূল কংগ্রেসের মতো আপের বিরুদ্ধেও অনেকে আঙুল তুলেছে। যদিও তা বরবারই ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে আপ নেতৃত্ব। এই মুহূর্তে দিল্লি ও পঞ্জাবে ক্ষমতায় রয়েছে কেজরিওয়ালের দল। অর্ণবের কথায়, 'রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উঠেছি। আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গিয়েছে। ভাল কাজ করতে হবে। দলের লক্ষ্য দুর্নীতি মুক্ত ভারত গড়া। এটা আমাদের জেদও। একমাত্র আম আদমি পার্টিই পারে দেশকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বিশ্ব সেরা করতে। এবার পশ্চিমবঙ্গ বা যে কোনও রাজ্যে আমাদের এটাই লক্ষ্য। মাত্র ১১ বছরে জাতীয় পর্যায়ে স্বীকৃতি পাওয়া যায়, ধন্যবাদ মানুষকে।'
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবীর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপে ED-কে ‘ফ্রি-হ্যান্ড’? চর্চায় সুপ্রিম-নির্দেশ
তবে এখনই এরাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে লড়াই করার কথা ভাবছে না ঝাড়ু প্রতীকের এই দল। তবে এর আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জানিয়ে ছিল তাঁরা পঞ্চায়েত স্তর থেকে লড়াই শুরু করতে চায়। পঞ্চায়েতে আপ লড়াই করবে কি? জবাবে অর্ণব বলেন, 'এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিয়ে দলের কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।' তবে আপের চিন্তাধারা ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর বলে তিনি জানিয়ে দেন। পশ্চিমবঙ্গে কি আপ সরকার গড়তে পারবে কখনও? অর্ণব এই প্রশ্নের জবাব মানুষের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন।