RG Kar protest Updates: আগামীকাল শুপ্রিম শুনানি। তার আগে আরজি করে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে আজ সন্ধ্যায় বেনজির প্রতিবাদের সাক্ষী থাকতে চলেছে রাজ্য। বাংলা জুড়ে ১২০ টি জায়গায় জ্বলে উঠবে 'দ্রোহের আলো'। তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের দাবিতে ফের একবার রাজপথের দখল নিতে চলেছে প্রতিবাদী মানুষ।
'দ্রোহের আগুন' না নিভিয়ে অভয়া মঞ্চের তরফে ডাক দেওয়া হয়েছে 'দ্রোহের আলো জ্বালো' কর্মসূচী। সুপ্রিম শুনানির আগে আর জি করের পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার বিচার চেয়ে রাজপথের দখল নিতে চলেছেন বাংলার মানুষ । সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলা জুড়ে ‘দ্রোহের আলো জ্বালো’কর্মসূচি করার আহ্বান জানিয়েছে ৮০টি সংগঠন সহ জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর'স-এর যৌথমঞ্চ ‘অভয়া মঞ্চ’।
আরজি কর কাণ্ডে ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্য এক বেনজির প্রতিবাদের সাক্ষী থেকেছে। রাজপথে ‘রাত দখল’থেকে শুরু করে‘দ্রোহের কার্নিভ্যাল’এর মতো প্রতিরোধে গড়ে উঠেছে । আগামীদিনেও 'অভয়া'র বিচারের দাবিতে বিদ্রোহের আগুন জ্বালিয়ে রাখতে আরও জোরদার কর্মসূচির পরিকল্পনা করছে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তার সহ প্রায় ৮০টি সংগঠন। সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘জ্বালাও আলো, দ্রোহের আলো’কর্মসূচির ডাক দিয়েছে অভয়া মঞ্চ।
ভরা বাজারে ভয়ঙ্কর গ্রেনেড হামলা, আহত ১২, নিন্দায় গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী
আরজি কর মামলা এখন সিবিআই’র হাতে। সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে চলছে বিচার প্রক্রিয়া। পরবর্তী শুনানি আগামীকাল, ৫ নভেম্বর। এই মামলায় ৮৭ দিনের মাথায় চার্জ গঠন। শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে শুরু হতে চলেছে বিচার প্রক্রিয়া। আগামী ১১ নভেম্বর থেকে চলবে শুনানি। এই মামলায় তদন্ত প্রক্রিয়ায় ঢিলেমি নিয়ে বারে বারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা জুনিয়র ডাক্তাররা। ৯ নভেম্বর আর জি কর কাণ্ডের তিন মাস পূর্ণ হতে চলেছে। তার আগে, দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত এবং ন্যায় বিচার চেয়ে ফের পথে নামতে চলেছে বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন সহ সাধারণ মানুষ ।
আমি ধর্ষণ-খুন করিনি, সরকার ফাঁসাচ্ছে', প্রিজন ভ্যান চাপড়ে চিৎকার সঞ্জয়ের, আরজি কর কাণ্ডে চার্জ গঠন
সুপ্রিম শুনানির আগে অভয়া মঞ্চের তরফে ডাক দেওয়া হয়েছে 'দ্রোহের আলো' কর্মসূচির। বলা হয়েছে, 'বাংলায় তিলোত্তমার নামে এখনও গর্জে উঠছে প্রতিটা মহল্লা। শাসকের দাঁত, নখ যত তীক্ষ্ণই হোক আমাদের দ্রোহের আগুন নিভবে না। সুবিচার আমরা আদায় করে থামব। সেই লক্ষ্যে পাড়ার মোড়ে একটু জায়গা নিয়ে নেমে পড়ব আমরা তিলোত্তমার ন্যায় বিচারের জন্য। জ্বলে উঠবে বাতি। স্লোগান, গান, কবিতা, বক্তব্যে স্মরণ করব তিলোত্তমাকে, বিচার চাইব শাসকের কাছে। ভয়মুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে একবার ঘোর গর্জনে জানান দিচ্ছে আমরা যাইনি মরে আজও'!