কাঁথির জনসভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সরাসরি দাবি করেছেন কয়লা পাচারে মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের সঙ্গে শুভেন্দু অডিও ক্লিপ তার কাছে রয়েছে। শুধু তাই নয় এদিন আরও ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনেছেন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। ইডি, সিবিআই ও এনআইয়ের মামলায় জামিন করিয়ে দেব বলে টাকা তুলছেন। যদিও অভিষেকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুভেন্দুর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
শনিবার কাঁথির কলেজ ময়দানে এক ঘন্টার ওপর ভাষণ দেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কাঁথি পুরসভা সারদার থেকে টাকা নিয়েছে কার অঙ্গুলি হেলনে? আমি বললাম পূর্ব মেদিনীরপুরে আর যাই হোক ২০২০-এর ডিসেম্বরের পর দুর্নীতির অভিযোগ বেশি পাবেন না। তার কারণ অভিযোগ যদি অক্টোপাসের সুর হয় অক্টোপাস যেখানে বসে আছে তার মাথাটা সেই প্রাসাদোপম বাসাটার নাম হচ্ছে শান্তিকুঞ্জ। আজ অক্টোপাসের মাথাটা দলে নেই, অক্টোপাসের সুরগুলোও আজকে নেই।'
আরও পড়ুন- পঞ্চায়েতে এবার ‘খেলা’ দেখাবেন শুভেন্দু, অভিষেক-গড়ে তৃণমূলকে তুলোধনা বিজেপি নেতার
এভাবে স্থানীয় পর্যায়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই তোলেন ভয়ঙ্কর অভিযোগ। অভিষেক বলেন, 'আজ একট দিলাম। বাকি তো আমার কাছে রয়েছে। বিনয় মিশ্র ও শুভেন্দু অধিকারীর কথোকথন, অডিও ক্লিপ। শুধু ছাড়িনি। কথায় কথায় বলত না কয়লা চোর. গরু চোর। কে কার সঙ্গে কথা বলেছে, বোঝাপড়ার কি চুরি সংক্রান্ত, কে কত বড় তোলাবাজ, কে কত বড় মিরজাফর, কে কত বড় গদ্দার। সব বার করব।'
আরও পড়ুন- কাঠের গুঁড়ি ফেলে রাস্তা আটকানোর চরম হুঁশিয়ারি, তৃণমূলকে কঠিন বার্তা শুভেন্দুর
এরপর সরাসরি কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির নাম করে তোলাবাজির অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'আগে সরকারি পরিষেবা থেকে টাকা মারত। হলদিয়া থেকে টাকা তোলা বন্ধ করে দিয়েছি। এখন কোথা থেকে টাকা তুলছে জানেন। এখন টাকা তুলছে সিবিআই, ইডি ও এনআইযের নাম করে জামিন করে দেব বলে। আমি ১০টা ক্যামেরা ও মোবাইলের সামনে বলে যাচ্ছি ইডি, সিবিআই ও এনআইয়ের নাম করে টাকা তুলছে যদি বুকের পাটা থাকে আমার বিরুদ্ধে মামলা কর। আমার কাছে কাগজ-পত্র আছে। কোর্টে গিয়ে জমা দিয়ে দেব। সারাজীবন তোলাবাজি করে গিযেছে। না হলে চলবে নাতো।'