এবার ড্যামেজ কন্ট্রোলে খোদ অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়। কলকাতার মেয়ো রোডে গত ৫০০ দিন ধরে অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার এঁদের মধ্যেই এক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামিকাল চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক তৃণমূলের যুবরাজের।
এতদিনে নড়ল টনক? এসএসসিতে নিয়োগে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে। রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করে ময়দানে সোচ্চার বিরোধীরা। এখনই তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের দাবিতে পথে নেমে আন্দোলনে বিজেপি। বিক্ষোভে সামিল বামেরাও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়েছে বলে সোচ্চার বাম-কংগ্রেসও। গত কয়েকদিনে সরকার বিরোধী সুর ক্রমেই চড়া হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে দুর্নীতির 'আখড়া' সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
আরও পড়ুন- ‘প্রায়ই আসতেন ফ্ল্যাটে, টাকার পাহাড়ের মালিক পার্থই’, সব ‘ফাঁস’ করলেন অর্পিতা
তৃণমূলের ভাবমূর্তি তলানিতে ঠেকছে বলে মনে করছেন দলেরই একাংশ। এবার এই আবহেই আসরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতার মেয়ো রোডে গত ৫০০ দিন ধরে লাগাতার অবস্থান আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন এসএসসির চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা যোগ্য হলেও তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। বৃহস্পতিবার তাঁদের অবস্থান আন্দোলন ৫০১ দিনে পড়েছে। ঠিক এই দিনেই মোয়ে রোডে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
আরও পড়ুন- বারুইপুরে পার্থের বাগানবাড়ি থেকে নথি পাচার? বাম বিক্ষোভে শোরগোল
শহীদুল্লাহ নামে চাকরিপ্রার্থী এক তরুণের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে শহীদুল্লাহ বলেন, ''একটি সূত্র মারফত ওনার সঙ্গে ফোনের মাধ্যমে পৌঁছতে পেরেছি। আমরা দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রণা ভোগ করছি। এব্যাপারে উনি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেছেন। আমাদের যন্ত্রণা থেকে মুক্তির জন্য ওনার যা করণীয় তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।''
আরও পড়ুন- ‘কোন মুখে কথা বলছেন মমতা?’, তৃণমূল সরকারের উৎখাতের ডাক দিয়ে সোচ্চার BJP
শহীদুল্লাহ আরও বলেন, ''উনি বলেছেন, আমার পক্ষে যা করার তাই করব। দ্রুত তোমাদের নিয়োগের ব্যবস্থা করব, উনি এটা বলেছেন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে সমস্যার সামাধান চাইছিলাম। এই সমস্যা সমাধানের জন্য গোটা রাজ্য পাশে ছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমরা আশান্বিত। আমাদের হকের চাকরি যেদিন পাব, প্রকৃত অর্থে সেদিনই আনন্দিত হব। আমরা আশায় বুক বাঁধছি। আমাদের প্রত্যেকের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত না-হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন তোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশের মেধাতালিকাভুক্ত প্রত্যেকের নিয়োগ চাই।'' জানা গিয়েছে, আগামিকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হবে।