Abhishek Banerjee statement:বৃহস্পতিবার দিল্লি রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফের একবার নির্বাচন কমিশনকে একহাত সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগে বারইপুর পূর্ব এবং ময়নার ERO-কে সাসপেন্ড করেছে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকালই জানিয়ে দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সেই নির্দেশ তিনি মানবেন না। কাউকে তিনি সাসপেন্ড করবেন না।
এবার এই ইস্যুতে মুখ খুলে বিস্ফোরক অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি এদিন বলেছেন, "ইলেকশন কমিশন এক্তিয়ার বহির্ভূত কাজ করছে। ইলেকশন কমিশনের কাজ তখনই শুরু হয় যখন আদর্শ আচরন বিধি লাগু হয়। কোড অফ কন্ডাক্ট লাগু হওয়ার পর থেকে ইলেকশন কমিশনের সিভিল এবং পুলিশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিজের হাতে নিয়ে চালায়। যাতে নির্বাচনটা নিরপেক্ষ ও অবাধ হয়।"
আরও পড়ুন- West Bengal news Live Updates: বিরাট বিপত্তি কলকাতায়! হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিশাল বাড়ির একাংশ
ফের একবার বাংলার প্রতি বঞ্চনার অভিযোগেও সরব তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, "যে কাজ একটা নির্বাচিত সরকার করবে এখনও দশ মাস ১১ মাস বাকি। প্রায় তিন-চার মাস আগে থেকেই এটা শুরু করেছে প্রায় দেড় বছর আগে থেকে সরকারকে কাজ করতে না দেবে বলে। এবং নির্দিষ্টভাবে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে তাকে বাড়তি সুবিধা করে দেবে বলে।
আরও পড়ুন-Maharashtra Road Accident: বিরাট দুর্ঘটনা, ট্রাকের চাকায় পিষে গেল ৬ শিশু, মৃত্যু ৪ জনের, বুক ফাটা কান্না, হাহাকার
বাংলার প্রতি বিজেপির কেন্দ্রীয় সরকার যেমন বঞ্চনা করেছে। একইভাবে বিচারব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে একাংশকে কাজে লাগিয়ে সন্দেশখালীর মত ঘটনাকে সারাদেশে প্রচার করে বাংলার বদনাম করার প্রচেষ্টা করেছে। এখন ইলেকশন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে যাতে বাঙালিরা যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে তারা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার নির্লজ্জ ভূমিকায় ইলেকশন কমিশন নেমেছে।"
আরও পড়ুন-One year of RG Kar incident:আরজি কর কাণ্ডের এক বছর: 'ন্যায়বিচার'-এর পথ চেয়ে পরিবার
তিনি আরও বলেছেন, "ইলেকশন কমিশনের এক্তিয়ার এখন নয়। তারা রাজ্য সরকারকে জানাতে পারে। একটা নির্বাচিত সরকার যাকে বাংলার ১২ কোটি মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে ২০২১ সালে। সেই সরকার একমাত্র বদ্ধপরিকর ১২ কোটি মানুষের স্বার্থ দেখতে। কোন রাজনৈতিক দল বা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি নয়।
২০২১ সালের পর থেকে চার বছরের মধ্যে প্রায় ৫০ টার বেশি সিবিআই তদন্ত কলকাতার হাইকোর্টের বিভিন্ন বেঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকার প্রভাব পাঠিয়ে বাংলাকে ছোট করার জন্য এবং তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে রাখার জন্য যেভাবে ব্যবস্থা করেছে বাংলার মানুষ দেখেছে।"