গত ১২ জুলাই ধুপগুড়িতে এসে নতুন তৃণমূলের তত্ত্ব প্রথম সামনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২ মাসের মাথায় ফের জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে এসে নয়া তৃণমূলের ব্যাখ্যা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কেমন হবে তাঁর নতুন তৃণমূল, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অভিষেক প্রথমে বলেন, "১২ জুলাই নতুন তৃণমূলের কথা বলেছিলাম। অনেক জলঘোলা হয়েছে, অনেকে অনেক কিছু লিখেছে, বলেছে, দেখিয়েছে। তখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হয়নি।"
রবিবার মালবাজারে চা-শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় সমাবেশে নতুন তৃণমূল তত্ত্ব নিয়ে সরব হলেন অভিষেক। তাঁর ব্যাখ্যা, "নতুন তৃণমূল হবে সেই ফুটবলারদের মতো, যাঁরা বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলবে, কিন্তু ঠান্ডা লাগবে না। বৃষ্টিতে ভিজে ১০টা ছেলে ফুটবল খেললে দেখবেন, তিনজনের ঠান্ডা লাগে, জ্বর আসে। আবার তিনজনের মাথা ব্যথা করে। কিন্তু তিনজন এমনও থাকে সেই দলে যাঁদের কিছুই হয় না। আমাদের সবাইকে ওই তিনজনের মতো হতে হবে।"
আরও পড়ুন ‘একটাই বঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ’, বাংলা ভাগ নিয়ে অনন্ত মহারাজকে তোপ অভিষেকের
অভিষেক বকলমে বলতে চেয়েছেন, নয়া তৃণমূল কলঙ্কমুক্ত হবে। কোনও নেতার বিরুদ্ধে যেন অভিযোগ না থাকে। উল্লেখ্য, তিনি আগেও হুঁশিয়ারি দেন, তৃণমূল করে খাওয়ার জায়গা নয়। ঠিকাদারি আর তৃণমূল একসঙ্গে করা যাবে না। এদিন অভিষেক বলেন, "মঞ্চে মলয় ঘটক আছেন। ওঁর বাড়িতে রেইড হয়েছিল। কী পেয়েছে, ১৪ হাজার টাকা। যাতায়াতের খরচ ওঠেনি।"
আরও পড়ুন ‘PF জমা না হলে BJP এমপি-এমএলএ-দের বাড়ি ঘেরাও’, চা শ্রমিকদের সভায় হুঁশিয়ারি অভিষেকের
অভিষেক বলেন, "তৃণমূল হাই-কোয়ালিটি ডিভিডি। যা শোনায়, তাই দেখায়। আর বিজেপি হল ভাঙা অডিও ক্যাসেট। শুধু শোনা যায়, দেখা যায় না।" দলের একের পর এক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। পার্থ-অনুব্রতরা জেলে। এই অবস্থায় তৃণমূলের ভাবমূর্তি জনমানসে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে। তা নিয়েও এদিন বলেছেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "কিছু ভুল-ত্রুটি থাকতেই পারে। কিন্তু ভুলের সংশোধন দল করছে কি না সেটা দেখতে হবে। যদি কেউ ব্যক্তি স্বার্থে দলকে ব্যবহার করে, তাহলে দল তাঁর পাশে দাঁড়াবে না।"