Abhishek Banerjee India Bloc: "বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে NRC চালুর চেষ্টা থেকে পহেলগাঁও হামলায় 'ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থতা', ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
শনিবার ইন্ডিয়া জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দুই ডজন বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে অভিষেক পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলাকে "'ইন্টেলিজেন্স ব্যর্থতা" বলে অভিহিত করেন।
একইসঙ্গে বিহারে নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলছে যে Special Intensive Revision (SIR), তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। তাঁর আশঙ্কা, এই প্রক্রিয়াকে কাজে লাগিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (NRC) চালু করার চেষ্টা চলছে কেন্দ্র।
অভিষেক দাবি করেন, “বিহারে বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের মিলিত চেষ্টায় ভোটার তালিকায় রদবদল ঘটিয়ে নির্বাচনে ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে শাসক বিজেপি । মহারাষ্ট্রে লোকসভা নির্বাচনের পরে যেভাবে ৪০ লক্ষ নতুন ভোটার যুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে, এখানেও সেই চিত্রই পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে।”
পাশাপাশি, দেশের বিদেশনীতির দুর্বল অবস্থান নিয়েও সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, “গত ১০-১২ বছরে ভারতের বিদেশনীতি ভেঙে পড়েছে। অবস্থাটা এতটাই খারাপ যে, অনেক দেশ পহেলগাঁও হামলার নিন্দা জানালেন সরাসরি কেন পাকিস্তানের নাম নেওয়া হয়নি।”
অভিষেকের অভিযোগ, “নির্বাচন কমিশন এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)-এর মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে বিরোধী নেতৃত্বকে কোণঠাসা করতে চাইছে। এতে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক নিরপেক্ষতা বিপন্ন হচ্ছে।” এদিনের সমাবেশে তিনি অভিযোগ করেন, “বিজেপি ‘E-square’ ফর্মুলা — অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন (ECI) এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) — ব্যবহার করে INDIA জোটের নেতাদের টার্গেট করছে।” অভিষেক সংসদের আসন্ন বাদল অধিবেশনে পহেলগাম হামলা ও ভারতের বৈদেশিক অবস্থান নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা দাবি জানান।
এদিনের বৈঠকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, জয়রাম রমেশ, প্রমোদ তিওয়ারি ছাড়াও শরদ পাওয়ার, হেমন্ত সোরেন, তেজস্বী যাদব, সঞ্জয় রাউত, ওমর আবদুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে সরব হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন নেতারা। সংসদে পূর্ণ রাজ্য মর্যাদা ফেরানোর দাবি, কৃষক সমস্যা, বেকারত্ব, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং সাম্প্রতিক আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরোধী জোটের তরফে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে দিল্লিতে আরও একটি বৈঠক হবে।