Patna hospital murder: বিহারের কুখ্যাত গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনায় এবার কলকাতা থেকে গ্রেফতার হামলার 'মাস্টারমাইন্ড' তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশা সহ চারজন। আজ অভিযুক্তদের আজ আদালতে পেশ করা হবে।
পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে কুখ্যাত গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্র হত্যার ঘটনায় কলকাতা পুলিশ এবং বিহার এসটিএফ আবারও বড় সাফল্য পেয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) রাতে কলকাতার নিউ টাউন এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশা সহ ৪ সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিহার পুলিশ। আজই ধৃতদের আদালতে পেশ করে ট্রান্সজিট রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
বিহারের পাটনায় হাসপাতালে গুলি কাণ্ডের তদন্তে শনিবার দিনভর একের পর এক অভিযানে নিউটাউন থেকে পাঁচজনকে আটক করার পর রাতে কলকাতার আনন্দপুর এলাকার একটি গেস্ট হাউস থেকে আরও চারজনকে গ্রেফতার করেছে করেছে কলকাতা পুলিশ ও বিহার পুলিশের একটি যৌথ দল। তাদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। যদিও ওই মহিলার গতিবিধি এখনও তদন্তকারীদের র্যাডারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পাঁচজন আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউসে লুকিয়ে ছিল। খবর পেয়েই গোটা গেস্ট হাউস ঘিরে ফেলে পুলিশ। ঘরের ভিতরে তল্লাশি চালানো হয়। পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজারে কলকাতা পুলিশের সদর দফতরে। অবশেষে বিহার পুলিশ অফিসিয়ালি তাদের গ্রেফতার করে। তার মধ্যে রয়েছেন তৌসিফ রাজা ওরফে বাদশা সহ ৪ সন্দেহভাজন। শনিবার ভোরে নিউটাউনের একটি আবাসন কমপ্লেক্স থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে STF ও বিহার পুলিশ। প্রথমে কমপ্লেক্সের বাইরে থেকে একজনকে ধরা হয়। তার জিজ্ঞাসাবাদের পর আরও চারজনকে দুটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিহারের বক্সারের বাসিন্দা ও গ্যাংস্টার চন্দন মিশ্রকে বৃহস্পতিবার পাটনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলি করা হয়। তিনি প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা গেছে যে পাঁচজন সশস্ত্র দুষ্কৃতী কোনরকমের বাধা ছাড়াই আইসিইউতে প্রবেশ করে এবং মিশ্রকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলি চালায়। এর পরে, তারা সহজেই হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যায়। চন্দন মিশ্র নিজেও একাধিক খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত আসামী ছিলেন, প্যারোলে ছাড়া পেয়ে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মোট ২৪টি অপরাধের অভিযোগ ছিল, যার মধ্যে ১২টির বেশি ছিল খুনের মামলা।
পাটনার পুলিশ সুপার (সেন্ট্রাল) দীক্ষা জানিয়েছেন, কীভাবে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ ভেঙে দুষ্কৃতীরা সরাসরি দ্বিতীয় তলায় উঠে গুলি চালিয়ে বেরিয়ে গেল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হাসপাতালের নিরাপত্তায় বড়সড় গাফিলতির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চন্দন মিশ্র খুনের ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাটনা পুলিশ মহলেও। এই ঘটনায় শাস্ত্রী নগর থানায় কর্মরত পাঁচ পুলিশ কর্মীকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে।