scorecardresearch

CBI ঝক্কি সামলাতেই নাজেহাল! এবার জঙ্গলমহলে কুড়মিদের ঘাঘর ঘেরায় পড়তে পারেন অভিষেক

দাবি আদায়ে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় লাগাতার আন্দোলান চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সমাজ।

Abhishek may face the siege of Kurmis in Jangalmahal
এবার কুড়মিদের ঘেরাওয়ের মুখে পড়তে পারেন অভিষেক।

তপশিলি উপজাতি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সমাজ। মূলত জঙ্গলমহলের চার জেলায় কুড়মিদের বসবাস। এর আগে টানা রেল-সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনে নজর টেনেছেন কুড়মিরা। এখন তাঁদের আন্দোলন ঘাঘর ঘেরা। জঙ্গলমহলে জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব এলেই তাঁদের ঘেরাও করে জিজ্ঞাসা করছেন, তাঁদের দাবি জানাচ্ছেন। ইতিমধ্যে একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে দাবি পেশ করেছে কুড়মি সমাজ। এদিকে চলতি মাসে নবান্নে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিরা। যদিও তা ফলপ্রসূ হয়নি বলে কুড়মি নেতৃত্ব জানিয়েছেন।  

পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাতো ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এলাকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি বা রাজনৈতিক নেতৃত্ব এলে আমরা সসম্মানে জিজ্ঞাসা করব বা জানতে চাইব। ইতিমধ্যে যাঁদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছে তাঁরা জবাব দিতে পারেনি, অস্বস্তিতে পড়ছেন। কারণ, ওনারা এই বিষয়টা নিয়ে কখনও মাথা ঘামাননি। মানস ভুঁইয়া, দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, জুন মালিয়া-সহ অনেককে ধরা হয়েছিল। শান্তিপূর্ণ ভাবে এই কর্মসূচি চলতে থাকবে।’

আরও পড়ুন- ৭২-এর মোদীকে ভীষণ কড়া চ্যালেঞ্জ ৩৬-এর অভিষেকের!

কুড়মি নেতা বলেন, ‘এসটি অন্তর্ভুক্ত হওয়া, কুড়মালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করা সহ আমাদের একাধিক দাবি রয়েছে। আমরা তো আদিবাসী। আমাদের আদিবাসীদের মতো ধর্মাচরণ, খাওয়া-দাওয়া, রীতি-রেওয়াজ, সংস্কৃতি। তবে আমাদের স্বীকৃতি নেই।’ জঙ্গলমহল ছাড়াও মালদহ, নদিয়া ও উত্তর দিনাজপুরে কুড়মিরা বসবাস করেন।

বাঁকুড়ায় নবজোয়ার যাত্রায় জনসংযোগ কর্মসূচি চলছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ায় কর্মসূচি স্থগিত রেখে অভিষেক কলকাতায় ফিরে গিয়েছিলেন। পাত্রসায়রের কর্মসূচিতে ভার্চুয়াল ভাষণ দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের বাঁকুড়ার কর্মসূতি যোগ দিয়েছেন অভিষেক। এদিন তাঁর কর্মসূচি রয়েছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল ও খাঁতরায়।  

আরও পড়ুন- নদী-সমুদ্রে জাল ফেলা বারণ, দিঘার বাজারে মাছের দামে আগুন, সমস্যায় পর্যটকরাও

জঙ্গলমহলে জনসংযোগ কর্মসূচি করছেন অভিষেক। বাঁকুড়ার পর বাকি থাকছে পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘ঘাঘর ঘেরা আন্দোলনে সবাই পড়বেন। উনি ব্যতিক্রম কেন হবেন? অভিষেকও তো জনপ্রতিনিধি। ওনাকে মানুষজন যদি প্রশ্ন করেন তাতে আপত্তি কোথায়? এখনও হয়নি হবে, তবে না হওয়ার কি আছে।’

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Westbengal news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Abhishek may face the siege of kurmis in jangalmahal