আবারও প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর নিশানায় তৃণমূল নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন গুলির ডাকা ধর্মঘটের বিরোধিতায় মমতা ব্যানার্জি নেতৃত্বাধীন সরকারের অতি সক্রিয়তার তুমুল সমালোচনা প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদের। আরও একবার তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের কর্মসূচি নিয়েও তুমুল কটাক্ষ ছুঁড়ে দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে আজ সারা ভারতব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল। দেশের অন্যান্য রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গেও ধর্মঘটের সমর্থনে পথে নেমেছিলেন এই রাজ্যের বাম-কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শহর থেকে জেলা বিভিন্ন জায়গায় ট্রেন-বাস অবরোধের চেষ্টা করেন তাঁরা।
তবে এদিন সকাল থেকে আগাগোড়া রাজ্য সচল রাখতে সতর্ক ছিল প্রশাসন। বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামা বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আটকাতে তুমুল তৎপরতা দেখান পুলিশকর্মীরা। দিকে দিকে চলে ব্যাপক ধরপাকড়। এমনকী লাঠিচার্জের ছবিও ধরা পড়েছে। বনধের সমর্থনে রাস্তায় নামা বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা পর্যন্ত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন- weekend getaway:দিন দুয়েকের ছুটিতেই বাজিমাত! বর্ষায় কলকাতার কাছের এপ্রান্তের তাকলাগানো শোভার প্রেমে পড়ে যাবেন
বনধ বিরোধিতায় রাজ্য সরকারের অতি সক্রিয়তার তুমুল সমালোচনায় সরব প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এদিন বলেছেন, "বনধের বিষয়গুলি কী অমূলক? অযৌক্তিক? শ্রমিকরা তাঁদের অধিকার হারাচ্ছেন। নানা আইন এনে শ্রমিকদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তৃণমূলের সাংসদরা সংসদে শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে কথা বলেন। মমতা ব্যানার্জিও তো বলেন। তাহলে শ্রমিক স্বার্থ রক্ষার জন্য ধর্মঘটের বিরোধিতা কেন? পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আপত্তি কোথায়? BJP-র দালালি করতে গিয়ে শ্রমিকের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শ্রমিকদের হয়ে আন্দোলন চালানো লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে মমতা ব্যানার্জি প্রমাণ করে দিলেন তিনি বিজেপির দালাল।"
আরও পড়ুন-GK-Indian Railways:বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম সবচেয়ে ব্যস্ত ৫টি রেলস্টেশনের নাম কী? জানলে অবাক হবেন!
এরই পাশাপাশি তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের কর্মসূচি নিয়েও কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা। অধীরের কথায়, "২১ জুলাই এখন শহিদ দিবস নেই। ওটা পিকনিক দিবস। দু'দিন আগে থেকে দেখবেন কত রকমের ডিম, মাছ, মাংস হচ্ছে। বোতলটা দেখা যায় না, বোতলেরও ছড়াছড়ি থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেক পিকনিক করতে যায়। পয়সার দরকার তো। পঞ্চায়েতে চুরি করতে হবে, লোকের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে হবে, কাটমানি খাবে। সেই টাকায় দিদির শহিদ দিবস হবে। এই সুবাদে চাঁদা তোলার মাধ্যমে নেতাদের পকেটেও টাকা ঢুকবে। যে পরিবারের লোকেরা শহিদ হয়েছিল তাঁদের দেখতে পাবেন না।"