Pahalgam Terror Attack: পহেলগাঁওয়ে বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার পর অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) চালায় ভারত। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী। তবে তার পাল্টা হামলার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে পাকিস্তানও। যদিও পাক আগ্রাসনের সিংহভাগই দুরন্ত তৎপরতায় রুখে দিয়েছে ভারত। তবে কাশ্মীর সীমান্তের বেশ কয়েকটি গ্রামে পাক গোলাবর্ষণে বেশ কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঘটেছে প্রাণহানিও।
জম্মু কাশ্মীরের পরিস্থিতি সহ ভারত-পাকিস্তানের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে সংসদ ভবনে বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তুলেছিল কংগ্রেস। প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীর দাবি, প্রথমটায় কংগ্রেস এই ব্যাপারে তৃণমূলকে পাশে চেয়েও পায়নি। পরে লোক দেখানো কায়দায় তৃণমূল সেই একই দাবি করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেতা।
অধীর এপ্রসঙ্গে বলেছেন, "পহেলগাঁওয়ের ঘটনা নিয়ে বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা প্রথমে কংগ্রেসই বলেছিল। সেই সময় কংগ্রেসের আহ্বানে সাড়া দেয়নি তৃণমূল। তাদের মনে হয়েছিল এখন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে সমালোচনা করা ঠিক নয়। অনেকদিন পর তাদের মনে হয়েছে, তারা যে BJP-কে রক্ষা করতে চাইছে সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে, তাই আবার লোক দেখানো বিশেষ অধিবেশন ডাকার নাটক করছে।"
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: প্রবল বিক্ষোভে উত্তাল-কাণ্ড, কলকাতার নাকের ডগায় থানা ঘেরাও, রোষের মুখে তৃণমূল বিধায়ক
অন্যদিকে অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তানের মুখোশ বহির্বিশ্বে টেনে খুলে দিতে দারুণ তৎপরতা নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের সংসদদের একাধিক দল এই মুহূর্তে বিশ্ব সফর করছে। তেমনই একটি দলে রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অন্য প্রবীণ সাংসদদের বাদ দিয়ে অভিষেককে কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলে রাখা নিয়েও সমালোচনা করেছেন অধীর। এক্ষেত্রে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে অধীর এদিন বলেছেন, "খোকাবাবুকে পাঠিয়ে খবরের কাগজে নাম তুলতে চেয়েছিল। খবরের কাগজে নাম-টাম বেরোবে। বাকি তাঁর দলে তো কেউ যোগ্য ছিলেন না...।"
আরও পড়ুন- BJP-TMC:একুশের কায়দাতেই BJP-কে সামলানোর ছক! মোদী-শাহের সফরের আগেই 'খেলা শুরু' তৃণমূলের
এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতেও পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দরজা খোলা রাখার সওয়াল তুলেছেন কেউ কেউ। এই প্রসঙ্গে লোকসভায় কংগ্রেসের প্রাক্তন দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, "সরকার সিদ্ধান্ত নেবে আলোচনা করবে কিনা। তবে আমরা মনে করি, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকাটা উচিত। আমরা এটা বলছি না যে আমাদের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হোক। পাকিস্তান চাইছে আলোচনা। সেটা সরকারকে ভাবতে হবে।"