WB Assembly Election 2026: ২০২১-এর বিধানসভা, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, মুখ্যমন্ত্রীরা দলে দলে বাংলায় আসতে থাকেন। যথারীতি সাংগঠনিক কাজ থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁরা অংশ নেন। অন্যদিকে সুর চড়তে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসেরও। বিজেপির এই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের বাংলায় আসাকেই যেন বারে বারে নিজেদের হাতিয়ার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
মাস দু'য়েক আগে বাংলায় আসার কথা ছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের। কেন্দ্রীয় সভাপতি বদলের পরও বাংলার সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অমিত শাহর নজর থেকে গিয়েছে। জগৎপ্রকাশ নাড্ডা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হলেও কার্যত বঙ্গ বিজেপির 'অভিভাবক' শাহ। এদিকে আগামিকাল আলিপুরদুয়ারে রাজনৈতিক সমাবেশ ও বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় জনমুখী প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে উত্তরবঙ্গে বিজেপির তোড়জোর চলছে। রাজ্যে এটাই গেরুয়া শিবিরের শক্ত ঘাঁটি। এদিকে মোদী যাওয়ার একদিন পরেই বঙ্গ সফরে আসছেন অমিত শাহ।
রাজনৈতিক মহলের মতে, ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে পর-পর BJP-র দুই শীর্ষ নেতা বাংলায় আসছেন। তাঁদের আসাকে কেন্দ্র করে বাংলার বিজেপি নেতা-কর্মীরা যখন উৎসাহিত,ঠিক তখনই পুরনো কায়দায় ফিরে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কড়া ভাষায় আক্রমণ শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরই মধ্যে 'পরিযায়ী পাখি', 'পরিযায়ী পাখি' বলে চিৎকার জুড়ে দিয়েছে ঘাসফুল নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন- Kolkata News Live Updates: ফের হাইকোর্টে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ, 'বড় পর্যবেক্ষণ' উচ্চ আদালতের!
এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বঞ্চনা নিয়ে অভিযোগ ছিলই। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, যখন এই রাজ্যে আসছেন তখন খালি হাতে আসবেন না। অর্থাৎ রাজ্যের বকেয়া মেটানোর দাবি জানাচ্ছে তৃণমূল। তবে এরইমধ্যে মোদীকে বেনজির আক্রমণ করেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। তাঁর কটাক্ষ, 'আগে কেউ চায়ের ব্যবসা করতেন এখন গরম সিঁদুরের ব্যবসা করছেন'। যা নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছে বিজেপি। নরমে-গরমে আক্রমণের পথ নিয়েছে তৃণমূল, মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- Pm Modi:ছোটবেলার এই অত্যন্ত প্রিয় খাবারই মোদীর পাতে? কাল বঙ্গ সফরে প্রধানমন্ত্রী
তবে এখানে থেমে থাকার লক্ষণ নেই। ২০২১ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দুটো মূল স্লোগান ছিল, 'বাংলা তাঁর মেয়েকেই চায়', দ্বিতীয়ত 'বহিরাগত'। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই বহিরাগত তত্ত্ব ফের সামনে আসতে চলেছে। 'পরিযায়ী পাখি' আর 'বহিরাগত' তত্ত্বে শান দিতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে অত্যন্ত সুচারু ভাবে বাঙালি-বহিরাগত তত্ত্ব সামনে এনেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও যে সেই তত্বের মহড়া চলছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তৃণমূলের অভিযোগ, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার সাফল্যকে নিজেদের বলে তুলে ধরার চেষ্টা করছে বিজেপি। পরিযায়ী ও বহিরাগত তত্ত্ব বিজেপি এবার কীভাবে মোকাবিলা করে, সেদিকে নজর রয়েছে অভিজ্ঞ মহলের।