/indian-express-bangla/media/media_files/2024/12/04/pDhPRvD25VHxV3QQTmiU.jpg)
Bangladesh Unrest: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন অধীর চৌধুরী।
Adhir Ranjan Chowdhury on Bangladesh situation: বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছে হিন্দুরা। দিকে দিকে সংখ্যালঘু মহল্লায় বাড়ি-ঘর, মন্দির তছনছ করছে কট্টরবাদীরা। পড়শি দেশ থেকে প্রতিদিন হিন্দুদের উপর আক্রমণের খবর আসছে। এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। "মৌলবাদীদের হাতে বিপন্ন হচ্ছে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং উদারপন্থী মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন।" বাংলাদেশ ইস্যুতে অধীর চৌধুরীর এই মন্তব্য এখন চর্চায়।
শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) সরকারের অবসানের পর থেকে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ চরম আকার নিয়েছে। প্রায় প্রতিদিন বেছে বেছে হিন্দু মহল্লায় বাড়ি-ঘর, দোকান, মন্দিরে ভাঙচুর চালাচ্ছে কট্টরবাদীরা। কট্টরবাদীদের ভয়ে কার্যত সিঁটিয়ে রয়েছে হিন্দু সমাজ। সে দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেখানকার সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশের পরিস্থিতির আঁচ পড়েছে এপার বাংলাতেও। সেদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমণের নিন্দায় সরব হয়েছে রাজ্যের সব রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন সংগঠন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশে শান্তিবাহিনী পাঠানোর আর্জি জানিয়েছেন। ভারত সরকারকে এব্যাপারে রাষ্ট্রসংঘের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা প্রাক্তন সংসদ অধীর চৌধুরী।
কী বললেন অধীর চৌধুরী?
"মৌলবাদীদের হাতে বিপন্ন হচ্ছে হিন্দু-সহ অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এবং উদারপন্থী মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষজন। বাংলাদেশে রাতারাতি সব হিন্দু বিরোধী হয়ে গেল? এটা নিছক কল্পনা ছাড়া আর কিছু নয়। বাংলাদেশের সব মানুষ রাতারাতি হিন্দু বিরোধী হয়ে যেতে পারে না। অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে এই কাণ্ড ঘটানো হচ্ছে।"
মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে সে দেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। সনাতনীদের ওপর অবর্ণনীয় অত্যাচার নেমে এসেছে পড়শি দেশে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একাধিকবার বার্তা পাঠানো হয়েছে ঢাকাকে। সেদেশে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে ভারত। তবে ভারতের এই বার্তায় একেবারেই খুশি হয়নি বাংলাদেশ। বরং সে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিকে তাঁদের 'আভ্যন্তরীণ বিষয়' বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশের সরকার।